• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

নদী বন্দর বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার। শীতলক্ষ্যা ও বানার নদীর মোহনায় বাজারটির অবস্থায় হওয়ায় সেই ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে বরমী বাজার পরিচিত লাভ করেছে। প্রায় কয়েক হাজার ছোট বড় ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ বাজারে।

নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন শ্রীপুর উপজেলা, পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ছোট-বড় ব্যবসায়ী এবং হাজারও লোকজনের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বাজারটি।

বাজারটি শীতলক্ষ্যা নদী, বানার নদী ও নালজোড়া খালদ্বারা বেষ্টিত। মানুষের যাতায়াত ও বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে বাজারের প্রবেশ মুখেই নালজোড়া খালের উপর প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় একটি সেতু।

সেই সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় বর্তমানে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। প্রায় দুই বছর আগে সেতুটির পাশে সতর্কীকরণের সাইনবোর্ড লাগানো হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি আজও। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে বাধ্য হয়ে পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ সেতু ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান শামসুল হক বাদল সরকার জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় ৫০ বছর পূর্বে বাজারের প্রবেশ মুখে কেন্দুয়া এলাকায় নালজোড়া খালের উপর নির্মিত সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সেতুর উপর দিয়ে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে শত শত ছোট, মাঝারী ও ভারী যান চলাচল করে। অতিরিক্ত যানের চাপে গত দুই বছর আগে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সতর্কতা নিয়ে চলাচলের জন্য একটি সাইনবোর্ড দেয়া হয়। বর্তমানে সেতুটির পিলারগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়ায় যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

তিনি একাধিকবার সেতুটির ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।

বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আলী আমজাদ পন্ডিত জানান, বরমীর শীতলক্ষ্যা নদীর মাধ্যমে আসা অধিকাংশ বালি বরমী বাজার থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন করা হয়। রাতের বেলায় ভারী যানবাহনের চাপ থাকে এ ঝুঁকিপুর্ণ সেতুর উপর। এতে যে কোনো সময় তা ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বরমী বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি অহিদুল আলম ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনে প্রতিনিয়ত আমাদের এ সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। কয়েক বছর ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আমাদের ভিন্ন পথ ব্যবহার করতে হয়। এতে প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরে পণ্য পরিবহন করতে অনেক সময় লাগে এবং খরচ হয় বেশি।

বালি পরিবহনকারী ট্রাকের চালক সিরাজুল হক জানান, এ সেতুর উপর যখন গাড়ি নিয়ে উঠি তখন ভয়ে ভয়ে থাকি, কখন না জানি ভেঙে পড়ে। জীবিকার তাগিদেই অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই আমাদের গাড়ি নিয়ে এ সেতুর উপর উঠতে হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুস সবুর জানান, তিনি সদ্য এ উপজেলায় যোগদান করেছেন। তাই বিষয়টি তিনি অবগত নন। এ প্রতিবেদককে অফিসের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিলেন তিনি।

তবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুল হক জানান, সেতুটির ঝুঁকির্পূর্ণ অবস্থার প্রেক্ষিত্রে উপজেলা প্রকৌশল অফিস ইতোমধ্যেই সেতুটির ডিজাইন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে। সেখানকার অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে কাজ শুরু হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা