দুনিয়ায় শাস্তি হলে পরকালেও কি সাজা হবে?
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২০
অন্যায়-অপরাধ করলে শাস্তি পাবে এটা সবারই জানা কথা। আল্লাহ তাআলা অপরাধের কারণে মানুষকে শাস্তি দেবেন এ মর্মে অনেক নির্দেশনা জারি করেছেন। এবার যদি কেউ কুরআনে ঘোষিত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে আর দুনিয়াতে সে অপরাধের শাস্তি কার্যকর করা হয়, তবে পরকালেও কি ওই ব্যক্তি একই অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?
মানুষ তার ভালো কিংবা মন্দ কর্মের প্রতিফল দুনিয়াতেই পেতে হবে এমন নয়; বরং অনেকে দুনিয়ার সব ধরনের কর্মফল কেউ কেউ দুনিয়াতে পেয়ে থাকেন আবর কেউ কেউ পরকালেও পাবে।
আল্লাহ তাআলা কখনো কখনো বান্দাকে দুনিয়াতে মানুষের পাপ কর্মের শাস্তি দিয়ে থাকেন আবার কখনো দুনিয়াতে শাস্তি দেন না তা পরকালের জন্য জমা রাখেন। তিনি সেখানে তাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করবেন; যদি সে জীবদ্দশায় আল্লাহর কাছে অন্যায় অপরাধের জন্য ক্ষমা না চায়। আবার আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে দয়া করে নিজ থেকে তাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
ইসলামি শরিয়তে দুনিয়ায় শাস্তি হওয়ার পর পরকালে শাস্তি হবে কিনা এ সম্পর্কে হাদিসের দিকনির্দেশনা রয়েছে। তাহলো-
দুনিয়াতে কোনো ব্যক্তির গোনাহের কারণে বা কোনো অপরাধের কারণে যদি ইসলামি শরিয়া মোতাবেক শাস্তি পায় বা কোনো কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তির সম্মুখীন হয় তবে তার ওই অপরাধের গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। ওই শাস্তি পাওয়ার কারণে নির্ধারিত পাপ কাজের পরকালীন শাস্তি থেকেও মুক্তি পাবে। এ কথার সমর্থনে হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘আল্লাহ তাআলা যখন তাঁর বান্দার কল্যাণ চান তখন দুনিয়াতে তার শাস্তি ত্বরান্বিত করেন, আর যখন কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তার পাপগুলো জমা রেখে কেয়ামতের দিন তাঁর প্রাপ্য পূর্ণ করে দেবেন।’ (তিরমিজি)
কুরআনে ঘোষিত শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধের শাস্তি কুরআন অনুযায়ী হলে তাতে বান্দার পরকালে ওই অপরাধের শাস্তি হবে না। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক নারীর ব্যভিচারের শাস্তি কার্যকর করে তাকে গোনাহ থেকে মুক্ত বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যখন তাঁর কোনো বান্দার কল্যাণ চান তখন তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে তাকে বিপদে (অপরাধের শাস্তিতে) নিক্ষেপ করেন। আর যখন তিনি তাঁর কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তাকে তার অপরাধের শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকেন। তারপর কেয়ামাতের দিন তিনি তাকে পুরাপুরি শাস্তি দেন।’ (তিরমিজি)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘অনেক সময় মানুষের এই শাস্তি হয় রোগ ব্যাধি, কখনো সন্তানের মৃত্যু, কখনো দারিদ্রতা, কখনো সম্পদ বিনষ্ট কখনো অন্যান্য বিপদ মুসিবত দ্বারা। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার গোনাহ মোচন করেন। সেই সাথে তাকে উৎসাহিত করেন যেন সে বিপদে-মুসিবতে সবর ও সওয়াবের প্রত্যাশা করে।’
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বিপদ যত মারাত্মক হবে, প্রতিদানও তত বড় হবে। আল্লাহ তাআলা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদের (বিপদে ফেলে) পরীক্ষা করেন। যে লোক তাতে (বিপদে) সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য (আল্লাহ তাআলার) সন্তুষ্টি বিদ্যমান থাকে। আর যে লোক তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য (আল্লাহ তাআলার) অসন্তুষ্টি বিদ্যমান থাকে।’ (ইবনে মাজাহ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক নারী সাহাবির শাস্তিযোগ্য অপরাধের শাস্তি দিয়ে তার তাওবাহ কবুল হয়েছে মর্মে ঘোষণা দিয়েছিলেন। হাদিসে এসেছে-
এক নারী সাহাবি রাসুলু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, আমি জিনা (ব্যভিচার) করেছি। জিনার কারণে গর্ভবর্তী হয়েছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, তুমি চলে যাও। সন্তান হলে এবং তার দুধ পান করানোর সময় শেষ হলে এসো। যখন তার সন্তানের দুধ পানের মেয়াদ শেষ হলো, তখন সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি বললেন, তোমার এ সন্তানকে কারো দায়িত্বে দিয়ে দাও। যখন সে তার সন্তানকে অন্য একজনের দায়িত্বে রেখে আসলেন, তখন তাকে (অপরাধের শাস্তি হিসেবে) পাথর নিক্ষেপে হত্যার নির্দেশ দেয়া হলো। তার জন্য বুক সমান গভীর একটি গর্ত করা হলো এবং তাকে সেখানে দাঁড় করিয়ে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হলো। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জানাজার নামাজ পড়ালেন।
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তার জানাজা নামাজ পড়ালেন? এতো ব্যভিচারিনী। (এ কথা শুনে) তিনি বললেন, (হে ওমর!) এ নারী এমন তাওবাহ করেছে; তা যদি দুনিয়াবাসীর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়; তবে তা সবার জন্য যথেষ্ট হবে। এর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে যে, সে (আল্লাহর ভয়ে) নিজের জীবন দিয়ে দিল।’ (মুয়াত্তা মালেক)
অনুরূপভাবে কেউ যদি দুনিয়াতে কোনো অপরাধ করার পর ইসলামি আদালতের মাধ্যমে শাস্তিপ্রাপ্ত হয় তাহলে তা পরকালে তার জন্য কাফফারা (গোনাহ মোচনের মাধ্যম) হয়ে যায়। ফলে সেখানে তাকে এই অপরাধের কারণে পুনরায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। হাদিসের অন্য বর্ণনায় এসেছে-
হজরত উবাদা ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমরা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি এসব শর্তে আমার কাছে বায়আত করবে যে, তোমরা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করবে না, জিনা করবে না এবং চুরি করবে না? এরপর তিনি নারীদের শর্ত সম্পর্কিত আয়াত পাঠ করলেন-
إذا جاءك المؤمنات يبايعنك
(হে নবী!) মুমিন নারীগণ যখন আপনার কাছে এ মর্মে বায়আত করতে আসে।’
তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
‘তোমাদের যে ব্যাক্তি এ সব শর্ত পূরণ করবে, আল্লাহ তার প্রতিদান দেবেন। আর যে ব্যাক্তি এ সবের কোনো একটি করে ফেলবে এবং তাকে (দুনিয়াতে) শাস্তিও দেয়া হবে। তবে এ শাস্তি তার জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। আর যে ব্যাক্তি এ সবের কোনো একটি করে ফেলল এবং আল্লাহ তা গোপন রাখলেন, তাহলে এ বিষয়টি আল্লাহর কাছে রইল। তিনি চাইলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন অথবা তাকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।’ (বুখারি, )
সুতরাং উল্লেখিত হাদিসের আলোকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, কোনো ব্যক্তির যদি শাস্তিযোগ্য অপরাধের শাস্তি দুনিয়াতে যথাযথভাবে করা হয় তবে সে ওই অপরাধের বিষয়ে নিষ্পাপ হয়ে যাবে। পরকালে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দেবেন না। আর আল্লাহ তাআলা অনেককে দুনিয়াতে সাধারণ গোনাহগুলো অনেককে বিপদ-মুসিবত, রোগ-ব্যধি ও কষ্টের মাধ্যমে মোচন করে দেন। আবার চাইলে তিনি যে কাউকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
তাই কেউ যদি নিজের পাপাচার ও অন্যায় কাজের শাস্তি দুনিয়াতে পেয়ে যায় তাহলে এটা তার জন্য কল্যাণকর। কেননা দুনিয়ার শাস্তি লাভের পর সে গোনাহমুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু যার শাস্তি পরকালের জন্য জমা রাখা হয়; নিঃসন্দেহে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানকে শাস্তিযোগ্য সব অপরাধ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার সাধারন সব গোনাহসহ সব বড় গোনাহের শাস্তি দুনিয়াতে যে কোনো কিছুর বিনিময়ে ক্ষমা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
- খুলনায় স্মার্টবাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমেরভূমিকা শীর্ষককর্মশালা
- আল্লাহর পরিচয় জানা মানুষের প্রধান দায়িত্ব
- বাগেরহাটে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে দুই যুবক আটক
- গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
- সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌ ও বিমান বাহিনী
- মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী:প্রধানমন্ত্রী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- দাবদাহে অতিষ্ঠ
বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে - মাতারবাড়ী
জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট - দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধানউৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিরব্যবহার বাড়ানোহবে:পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগেরচিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে
- আইপিএলের মাঝপথে ফিরছেন মুস্তাফিজ, কত টাকা পাচ্ছেন!
- কৃষককেই উৎপাদিত ধান থেকে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে: ড. মির্জা মোফাজ্জল
- শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই: মেয়র
- ভোটে প্রভাব বিস্তাব করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- আকাশে ঘটতে চলেছে বিশাল তারকা বিস্ফোরণ
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- ডুমুরিয়ায় আবারো ট্রাকের ধাক্কায় মাদ্রাসার ছাত্র নিহত
- প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন মেয়র খালেক ও খায়রুজ্জামান লিটন
- পটুয়া সঙ্গীত বা পটের গান সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি?