যেভাবে ক্যাথলিক হলেন মুসলিম
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৯
বিখ্যাত পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবী নুহ হামিম কিলার ১৯৫৪ সালে আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাদেশিক এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। রোমান ক্যাথলিক হিসেবে এক রক্ষণশীল ধর্মীয় পরিবারে তিনি বেড়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের আকিদা ও বিশ্বাস সম্পর্কে নানা রকম প্রশ্ন তাঁর মনে দোলা দিতে থাকে। অবশেষে ১৯৭৭ সালে মিসরের কায়রোতে গিয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন ড. ইকবাল কবীর মোহন
নুহ হামিম কিলার খ্রিস্ট ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “১৯৬৩ সালের দ্বিতীয় ভ্যাটিকান কাউন্সিল অনুযায়ী চার্চের নির্ধারিত কোনো মাপকাঠি ছিল না। এ কারণেই ক্যাথলিক চার্চীয় উপাসনা ও প্রথাগুলো বরাবর পরিবর্তন চলে আসছিল। গির্জার পাদ্রিরা চার্চের নিয়ম-কানুনে নমনীয়তার পক্ষপাতী ছিল। তা সত্ত্বেও তারা সাধারণ ক্যাথলিক সমাজকে অন্ধকারে হাবুডুবু খাওয়াচ্ছিল। আল্লাহ প্রেরিত পবিত্র গ্রন্থ ইনজিল ইবরানি থেকে লাতিন, লাতিন থেকে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তরিত হয়ে তার অনেক কিছু আজ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এই পরিবর্তনের আরো একটি কারণ ছিল তাদের আকিদা ও বিশ্বাসের জটিলতা। যেমন—‘ত্রিত্ববাদের বিশ্বাস’। কোনো সাধারণ খ্রিস্টান তো নয়ই, বরং কোনো পাদ্রিও যুক্তিগ্রাহ্যভাবে এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। ত্রিত্ববাদের বিশ্বাস মতে, ‘আল্লাহ জান্নাতে অবস্থান করে জগতের রাজত্ব পরিচালনা করছেন। পৃথিবীতে আছেন আল্লাহর পুত্র ঈসা মসিহ, যিনি ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মানবতাকে রক্ষা করেছেন। আর ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.), যিনি একটি শুভ্র পাখিরূপে বিচরণ করছেন।’'
তিনি আরো বলেন, “ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে আমি যখন খ্রিস্টবাদ নিয়ে গভীরভাবে পড়াশোনা শুরু করি তখন আমার বুঝে এলো যে নিউ টেস্টামেন্ট ও ওল্ড টেস্টামেন্ট মূল গ্রন্থের সত্যাসত্যকেই সন্দেহের মাঝে ফেলে দিয়েছে। আমি জ্যাকসজারমিয়াসের লেখা ‘দ্য প্রবলেম অব হিস্টরিক্যাল জিসাস’ পড়েছি। জারমিয়াস এ শতাব্দীতে নিউ টেস্টামেন্টের একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী। তিনি পবিত্র ইনজিলের মূল ভাষায় বিশিষ্ট পণ্ডিত রুডলিফ রোলেটরের এ মতবাদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন যে নিউ টেস্টামেন্টের ওপর ভিত্তি করে হজরত ঈসা (আ.)-এর কোনো গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য জীবনী লেখা সম্ভব নয়। খ্রিস্টবাদে বিশ্বাসী প্রসিদ্ধ পণ্ডিত যখন এ চরম সত্যকে স্বীকার করে নিয়েছেন তখন বিরোধী পক্ষের জবাব দেওয়ার জন্য খ্রিস্টানদের কাছে অন্য কোনো দলিল-প্রমাণ অবশিষ্ট থাকে কি? বাইবেলে আল্লাহ পাকের ঐশী বাণীকে কল্পকাহিনির সঙ্গে এমনভাবে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিশেষে কাহিনিগুলোই ঐশী বাণীর ওপর প্রাধান্য লাভ করেছে। কোনো মানুষের পক্ষে বাইবেলের কল্পকাহিনি থেকে ঐশী বাণীকে পৃথক করা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে আমি আর্থার শওপান হার ও ফ্রেডরিকের নাতাশা পড়েছি। কিন্তু কোনোটিই খ্রিস্টবাদের ওপর আমার আস্থাহীনতা দূর করতে পারেনি। আমি ইমাম গাজ্জালি (রহ.)-এর একটি গ্রন্থও পড়েছি। এই গ্রন্থ পাঠ করে জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। আইজেআর বেরিজ কর্তৃক অনূদিত কোরআন শরিফও আমি পড়েছি, যদিও অনুবাদটি ছিল একজন খ্রিস্টানের। তথাপি তার প্রতিটি ছত্রে ছত্রে বাইবেলের পরিবর্তে কোরআন আল্লাহর কালাম হওয়ার প্রমাণ মেলে এবং কোরআনের মাহাত্ম্য ও প্রাধান্য প্রমাণিত হয়। এতে আল্লাহকে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে এবং মানুষকে নিছক বান্দা হিসেবে উভয়ের পারস্পরিক সম্পর্কে সুন্দর ও সাবলীলভাবে বিধৃত হয়েছে।”
নুহ হামিম কিলারের ভাষায়, ‘একসময় আরবি ভাষা শেখার জন্য আমি শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই। এক বছর পর আমি আরবি ভাষায় পুরোপুরি দক্ষতা অর্জনের জন্য কায়রো গমন করি। মিসরে আমার এমন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে, যার দ্বারা ইসলাম সম্পর্কে আমার বিশ্বাস আরো সুদৃঢ় হয়। পবিত্র কোরআনের প্রতি সেখানকার মুসলমানদের যে অগাধ বিশ্বাস দেখেছি, খ্রিস্টানজগতের কোথাও আমি তা দেখিনি। একদা প্রাতর্ভ্রমণে বের হয়ে নীল নদের তীরে একচিলতে কাপড়ে জনৈক ব্যক্তিকে নামাজ পড়তে দেখলাম। নামাজে সে খুব মনোযোগী ছিল। স্বীয় প্রভুর সঙ্গে তার মনোনিবেশ এতই গভীর ছিল যে মনে হচ্ছিল সে আর এ জগতে নেই।’
- বাগেরহাটে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে দুই যুবক আটক
- গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
- সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌ ও বিমান বাহিনী
- মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী:প্রধানমন্ত্রী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- দাবদাহে অতিষ্ঠ
বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে - মাতারবাড়ী
জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট - দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধানউৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিরব্যবহার বাড়ানোহবে:পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগেরচিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে
- আইপিএলের মাঝপথে ফিরছেন মুস্তাফিজ, কত টাকা পাচ্ছেন!
- কৃষককেই উৎপাদিত ধান থেকে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে: ড. মির্জা মোফাজ্জল
- শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই: মেয়র
- ভোটে প্রভাব বিস্তাব করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পর্যবেক্ষক প্রায় পাঁচ হাজার
- উপজেলা ভোট: দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- আকাশে ঘটতে চলেছে বিশাল তারকা বিস্ফোরণ
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- ডুমুরিয়ায় আবারো ট্রাকের ধাক্কায় মাদ্রাসার ছাত্র নিহত
- প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন মেয়র খালেক ও খায়রুজ্জামান লিটন
- পটুয়া সঙ্গীত বা পটের গান সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি?