ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো পারাপার, দুর্ভোগে সাধারন মানুষ
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯
গ্রামবাসী যোগাযোগের প্রধান ও একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থায় মঙ্গলেশ্বরী নদীর ওপরে কোনো ব্রিজ দেখেনি। সেক্ষেত্রে ঝুঁকি ছাড়া কখনো চলাচলের তৌফিকও হয়নি বলেও গ্রামবাসীর অভিযোগ। প্রত্যেকে ঝুঁকি নিয়ে একটি বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে পার হচ্ছে প্রতিদিন। মঙ্গলেশ্বরী নদীটি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, কায়তাপুর, শ্রীপুর, বিলপাড়সহ ১০/১২টি গ্রামকে অন্যান্য সবকিছু থেকে আলাদা করে রেখেছে বলে স্থানীয়দের মন্তব্য। ওই ইউনিয়নের বাউসাম বাজার পাড়ি দিয়ে বামনগাঁও গ্রাম। আর সেই গ্রাম থেকে পরবর্তী গ্রাম বিশ্বনাথপুর। সেখানে যেতে হলে মঙ্গলেশ্বরীর পাড়ি দিতে গিয়ে যত দুর্ভোগ। ব্রিজ না থাকায় বাঁশের সাঁকোই যোগাযোগের একমাত্র ব্যবস্থা।
ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে এসেছে মঙ্গলেশ্বরী নদী। গ্রামগুলোর বুক চিরে বয়ে চলা এই নদীটি ডিঙিয়েই হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত করতে হয় প্রতিদিন। উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত জীবন ধারায় পিছিয়ে থাকা গ্রামের মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুলে নদী পার হওয়ার দুঃসাহসিকতা আর দুর্ভোগের যেন কোনো অন্ত নেই।
বাড়িঘর, হাট-বাজার, কর্মস্থল বা শিশুদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যেতে প্রত্যেককে সাঁকোটি বেয়ে নদীটি পার হতে হয়। আর পার হতে গিয়ে কখনো কেউ হয়েছেন রক্তাক্ত, ভেঙেছেন হাত-পা বা কারো কোমর!এমনিতে একজন সুস্থ মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ডেকে সাহস সঞ্চার করে সময় ক্ষেপণ করলেও বাঁশের সাঁকো ঝুলে কোনোভাবে নদী পার হয়। তবে, ভয়াবহ দৃশ্যের সৃষ্টি হয় কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে পারাপারের সময়। সেই দৃশ্য যেন ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
দুর্ভোগের বর্ণনা দিতে গিয়ে খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক জানান, ব্রিজ না থাকায় বড় একটি হাড়িতে একজন গর্ভবতী নারীকে বসিয়ে সেটি রশি দিয়ে বেঁধে নদী পার করতে হয়েছে! পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনরাও চোখে কিছু দেখেন না সর্ষে ফুল ছাড়া! বৈঠাখালি ও বিশ্বনাথপুর গ্রামের বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দা আবু সাহেদ (৮৫), ইউসুফ আলী (৮০), আব্দুল হামিদ (৭৮), লোকমান হেকিম (৬০), রফিকুল ইসলাম (৪৮), আমেনা খাতুন (৬০) ও সেনোরা বানু (৫৬)। তাদের অভিযোগ, বছর আর যুগের পর যুগ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হলেও গ্রামবাসীকে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে আজও ফিরে তাকাননি কোনো জনপ্রতিনিধি!
তারা আরও জানান, দেশজুড়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। অথচ কী কারণে আর কোনো অপরাধে তাদের গ্রামে আজও এই করুণ পরিণতি তা কেউ বলতে পারেন না। সরকার নির্বাচিত করতে আর সবার মতো তারাও ভোট দেন তবে, কেন এই বৈষম্য?
সাহেদ, হেকিম জানান, মঙ্গলেশ্বরীর সংযোগস্থলে আগের গ্রাম রয়েছে বামনগাঁও, কান্দাপাড়া ও বাওসাম এবং পশ্চিমে রয়েছে বিশ্বনাথপুর, কায়তাপুর, শ্রীপুর, বিলপাড়। ছোট একটি মাত্র ব্রিজ না থাকার কারণে করুণ পরিণতি গ্রামবাসীর।
খারনৈ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা না থাকায় সমস্যার দিকগুলো তুলে ধরে এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলার সমন্বয় সভায় বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনোক্রমে কোথাও কোনো সুদৃষ্টি ফেরানো সম্ভব হয়নি। অথচ ৫০ মিটারের ছোট একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে অনেক সহজতর হত গ্রামবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক দিকে আসতো সচ্ছলতা। কিন্তু কেউ ভাবেননি সেসব কথা।খারনৈ ইউপির চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক জানান, সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য ব্রিজ করাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন তিনি। গ্রামবাসীর এই দুর্ভোগে তিনি নিজেও লজ্জিত। কিন্তু উপজেলা পরিষদসহ সব ধরনের সভায় বারবার বলেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন জানান, এ বিষয়ে অবগত নন তিনি। তবে, এবার জানার পর তিনি এলাকাটি পরিদর্শন করবেন। পরে প্রয়োজন সাপেক্ষে নেত্রকোনা-১ আসন (দুর্গাপুর, কলমাকান্দা) সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ করে দেবেন।
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- খুলনায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত
- ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’র পোস্টার প্রেজেন্টেশনে চ্যাম্পিয়ন ২ কলেজ
- পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
- খুলনায় ১ লাখ ৬৬ হাজার জাল টাকাসহ আটক ২
- বদলে গেছে খুলনার প্রবেশদ্বার জিরো পয়েন্ট
- খুলনায় জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উদযাপন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে এবার কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
- মধুখালীর ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর, শিগগির ফল পাব: মন্ত্রী
- কোরবানির পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ‘অসুস্থ হয়ে পড়লে মেকআপ রুমে আটকে রাখত’
- টোল আদায়ে ১৫০০ কোটি টাকার মাইলফলকে পদ্মা সেতু
- প্রচণ্ড তাপদাহে দুই শিক্ষকের মৃত্যু
- আবারও সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট জারি
- আজ শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- যে গ্রামে প্রবেশ করা যায় কিন্তু কিছু ছোঁয়া যায় না
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়
- জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে তা দলটিকে পরিষ্কার করতে হবে
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত
- গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় আমেরিকা
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- তীব্র তাপদাহে পাখির জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা
- সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো চারশ কেজি আম বিনষ্ট
- খুবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা নিয়ে আরও বড় দুঃসংবাদ
- খুলনার চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার অপু গ্রেফতার
- হিট স্ট্রোকে পাইকগাছায় ইট ভাটা শ্রমিকের মৃত্যু
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?
- সুন্দরবন থেকে আড়াই হাজার কুইন্টাল মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা