ভর্তি হতে এসে শিক্ষার্থীরা অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ে
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯
বাংলাদেশের প্রখ্যাত নৃবিজ্ঞানী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাজহারুল ইসলাম। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নৃবিজ্ঞানের সমসাময়িক চাহিদা ও গুরুত্বের কথা বলেছেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নৃবিজ্ঞানকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: আশির দশক থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে নৃবিজ্ঞান চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এ দেশে নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণার ঐতিহ্য আরও পুরোনো। সমাজ যেহেতু মানুষকে নিয়ে অতএব নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বাংলাদেশ একটি জনবহুল ও সমস্যাসঙ্কুল দেশ। এখানে প্রচুর সমস্যা রয়েছে, যা নৃবিজ্ঞানীরা তাদের অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে সমাধানে সচেষ্ট হতে পারে। নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা মাঠপর্যায়ে গবেষণা করে প্রাপ্ত সমস্যা ও সমাধানের চিত্র তুলে আনতে সক্ষম। কেননা নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণা পদ্ধতি ও মানুষ সম্পর্কিত পঠন পাঠন নৃবিজ্ঞানের একাডেমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু গবেষণা হয়েছে। বছরে গড়ে প্রায় ৪০০ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর জনবল তৈরি হচ্ছে। তারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় কৃতিত্বের সাথে কাজ করছে। তবে নৃবিজ্ঞানীর জন্য নির্দিষ্ট করে আরও কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। কলেজসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে স্টাফ নৃবিজ্ঞানীর পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নৃবিজ্ঞানীদের জন্য সুনির্দিষ্ট পদ তৈরি করা জরুরি।
বলা হয়ে থাকে, বিদেশে নৃবিজ্ঞানের গুরুত্ব থাকলেও বাংলাদেশে তেমন নেই। এ সীমাবদ্ধতার কারণ কী?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: দেশের বাইরে গুরুত্ব বেশি কিংবা আমাদের দেশে কম ব্যাপারটা এমন নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নৃবিজ্ঞান হচ্ছে এক অন্তর্দৃষ্টি। এই দৃষ্টি বিকশিত হলে মানুষকে এবং মানুষের সমস্যাকে বোঝা সম্ভব। বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। এখানে অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে এসব সমাধানকল্পে নৃবিজ্ঞানীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারে। এ দেশে রাষ্ট্রীয় পরিসরে ও বেসরকারিভাবে নৃবিজ্ঞানীদের কাজের আরও সুযোগ দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষয় বিভ্রাট দেখা যায়। এ সমস্যা দূরীকরণে কী করা যেতে পারে?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: পৃথিবী নিয়ত পরিবর্তনশীল। তাই আমরা নতুন নতুন বিষয়ের সাথে যেমন পরিচিত হচ্ছি; তেমনি কিছু কিছু বিষয় হারিয়েও যাচ্ছে। পৃথিবীর বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর পর বিষয়ভিত্তিক কাউন্সিলিং করানো হয়। যারা সেই বিষয়ে পড়ে ভালো কাজ করেছে, তাদেরকে দিয়ে অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা-পর্যালোচনার ব্যবস্থা করা হয়। আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ে। অনুপ্রেরণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম থেকেই উৎসাহী করে তোলাটা জরুরি।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে নৃবিজ্ঞানীরা কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: এটা মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়। তবে নৃবিজ্ঞানীরা স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের মিথস্ক্রিয়া ও তাদের সমস্যা এবং মনোভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়ে সাহায্য করতে পারে। নীতি নির্ধারকরা নৃবিজ্ঞানীদের প্রাপ্ত গবেষণালব্ধ ফলাফলকে কাজে লাগাতে পারে। এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
একজন নৃবিজ্ঞানী হিসেবে বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চাইছেন?
অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম: কোনো সমাজ বা রাষ্ট্রে একেবারে বৈষম্য নির্মূল সম্ভব নয়। তবে সহনীয় বৈষম্যের এক জ্ঞানভিত্তিক সমাজের প্রত্যাশা করি। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সমৃদ্ধ, পরমতসহিষ্ণু এক উদারনৈতিক সমাজের প্রত্যাশা করি। মানুষ তার স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারবে এবং বিকশিত হতে পারবে এমন এক সমাজ প্রত্যাশা করি।
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- খুলনায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত
- ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’র পোস্টার প্রেজেন্টেশনে চ্যাম্পিয়ন ২ কলেজ
- পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
- খুলনায় ১ লাখ ৬৬ হাজার জাল টাকাসহ আটক ২
- বদলে গেছে খুলনার প্রবেশদ্বার জিরো পয়েন্ট
- খুলনায় জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উদযাপন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে এবার কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
- মধুখালীর ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর, শিগগির ফল পাব: মন্ত্রী
- কোরবানির পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ‘অসুস্থ হয়ে পড়লে মেকআপ রুমে আটকে রাখত’
- টোল আদায়ে ১৫০০ কোটি টাকার মাইলফলকে পদ্মা সেতু
- প্রচণ্ড তাপদাহে দুই শিক্ষকের মৃত্যু
- আবারও সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট জারি
- আজ শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- যে গ্রামে প্রবেশ করা যায় কিন্তু কিছু ছোঁয়া যায় না
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়
- জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে তা দলটিকে পরিষ্কার করতে হবে
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত
- গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় আমেরিকা
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- তীব্র তাপদাহে পাখির জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা
- সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো চারশ কেজি আম বিনষ্ট
- খুবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা নিয়ে আরও বড় দুঃসংবাদ
- খুলনার চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার অপু গ্রেফতার
- হিট স্ট্রোকে পাইকগাছায় ইট ভাটা শ্রমিকের মৃত্যু
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?
- সুন্দরবন থেকে আড়াই হাজার কুইন্টাল মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা