রোহিঙ্গা গণহত্যা : কী আদেশ দিতে যাচ্ছে আইসিজে ?
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩ টায় অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করবেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। শুনানিতে মামলাকারী গাম্বিয়ার পক্ষ থেকে ৫টি বিষয়ে আদেশ চাওয়া হয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাখাইনে নতুন করে যেন আর কোনও গণহত্যা সংঘটিত না হয়, আদালতের অন্তর্বর্তী আদেশে তার প্রতিফলন ঘটতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইসিজের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনও আদেশ এলে মিয়ানমারের পক্ষে তা উপেক্ষা করা সহজ হবে না। আর নেপিদো আদেশ বাস্তবায়ন না করলেও পরে অন্য পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকবে গাম্বিয়ার।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত আরও তীব্রতর না হওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সের্গেই ভ্যাসিলিয়েভ বলেছেন: "সর্বার্থেই এটি একটি ঐতিহাসিক মামলা। খুব কম সংখ্যক মামলার ক্ষেত্রেই এর সঙ্গে (রোহিঙ্গা নিধন) তুলনীয় মাত্রার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।’
ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টস-এর কমিশনার রিড ব্রোডি বলেছেন, ‘বিশ্বের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আদালত আজ আমাদের সময়ে সংঘটিত সবথেকে ভয়ঙ্কর এক গণ-নৃশংসতার বিরুদ্ধে রায় দিতে যাচ্ছে। ওই নৃশংসতা এখনও চলছে।’ লিউভেন ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক গ্লেইডার হার্নান্দেজ তার সঙ্গে একমত হয়েছেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘এই মামলার প্রকৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক এবং আইসিজের প্রাক্তন আইনজীবী মাইক বেকার বলেছেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা জরুরি। এ নিয়ে আরও বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ এই অধ্যাপক। তিনি বলেছেন: ‘আজ একেবারেই প্রাথমিক একটি সিদ্ধান্ত আসবে; যা দিয়ে মামলার রায় কী হবে তা বলা কঠিন।’
যে বিষয়গুলোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো: গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে; মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি যেন কোনও ধরনের গণহত্যা না চালাতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া; গণহত্যা সংক্রান্ত কোনও ধরনের প্রমাণ নষ্ট না করা; এবং বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল ও খারাপ করে এমন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া। পঞ্চম বিষয়টি হচ্ছে, আদেশের পরে আগামী ৪ মাসের মধ্যে উভয়পক্ষ তাদের নেওয়া পদক্ষেপ কোর্টকে অবহিত করবে।
হার্নান্দেজ মনে করছেন, নতুন করে যেন আর কোনও গণহত্যা সংঘটিত না হয়, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে সেই বিষয়টি গুরুত্ব পেতে পারে। ‘মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করার মতো সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে অন্তর্বর্তী আদেশ দিতে পারেন আদালত’।
প্রশ্ন উঠেছে আইসিজের আদেশ মিয়ানমার বাস্তবায়ন করবে কিনা। রিড ব্রোডি অবশ্য মনে করছেন, সু চি যখন আদালতে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তখন আইসিজেকে উপেক্ষা করা মিয়ানমারের জন্য সহজ হবে না। তিনি বলেছেন, ‘সু চিকে হেগে পাঠিয়ে মিয়ানমার আইসিজের গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছে। আদালতের বৈধতা অস্বীকার করা এখন সরকারের পক্ষে সত্যিই কঠিন হয়ে উঠবে।’
মিয়ানমার যদি আদালতের অন্তবর্তীকালীন আদেশ বাস্তবায়ন না করে, তাহলে গাম্বিয়া মামলাটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থানান্তর করতে পারবে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে, তারা মিয়ানমারকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধ্য করবে কিনা। পরবর্তীতে যদি প্রমাণিত হয়, মিয়ানমার আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেনি, তাহলে তাদেরকে দায়ী করা যাবে। ব্রোডি আরও বলেছেন: "আদালতের আদেশ যত বেশি নির্ভুল, কোনও লঙ্ঘন হয়েছে কিনা তা সনাক্ত করা তত সহজ হবে।" ভ্যাসিলিয়েভ বলেছেন, ‘আইসিজে গাম্বিয়ার পাশেই থাকবে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেবে’।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গারা রাখাইনে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে এবং এর ফলে গণহত্যার মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে উল্লেখ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে অভিযোগ আনে গাম্বিয়া। যেহেতু এ ধরনের মামলা দীর্ঘস্থায়ী হয়, সে কারণে ওই একই আবেদনে পাচঁটি বিষয়ে কোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চায় দেশটি। এ বিষয়ে শুনানি হয় ডিসেম্বরের ১০ থেকে ১২ তারিখে। সেখানে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে।
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- খুলনায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত
- ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’র পোস্টার প্রেজেন্টেশনে চ্যাম্পিয়ন ২ কলেজ
- পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
- খুলনায় ১ লাখ ৬৬ হাজার জাল টাকাসহ আটক ২
- বদলে গেছে খুলনার প্রবেশদ্বার জিরো পয়েন্ট
- খুলনায় জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উদযাপন
- ফিলিস্তিনের পক্ষে এবার কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
- মধুখালীর ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর, শিগগির ফল পাব: মন্ত্রী
- কোরবানির পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ‘অসুস্থ হয়ে পড়লে মেকআপ রুমে আটকে রাখত’
- টোল আদায়ে ১৫০০ কোটি টাকার মাইলফলকে পদ্মা সেতু
- প্রচণ্ড তাপদাহে দুই শিক্ষকের মৃত্যু
- আবারও সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট জারি
- আজ শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন
- ৯ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু
- যে গ্রামে প্রবেশ করা যায় কিন্তু কিছু ছোঁয়া যায় না
- ঢাকার তাপমাত্রা দেখে সারা দেশের বিদ্যালয় বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়
- জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে তা দলটিকে পরিষ্কার করতে হবে
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত
- গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় আমেরিকা
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে
- পাহাড়ে শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন
- তীব্র তাপদাহে পাখির জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা
- সাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো চারশ কেজি আম বিনষ্ট
- খুবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- তাপমাত্রা নিয়ে আরও বড় দুঃসংবাদ
- খুলনার চিহিৃত কিশোর গ্যাং লিডার অপু গ্রেফতার
- হিট স্ট্রোকে পাইকগাছায় ইট ভাটা শ্রমিকের মৃত্যু
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?
- সুন্দরবন থেকে আড়াই হাজার কুইন্টাল মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা