• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মরণোত্তর চক্ষুদানের মাধ্যমে অন্ধত্ব দূরকরা সম্ভব:স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৩  

মরণোত্তর চক্ষু দান করার মাধ্যমেও অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আরও ৬৫টি কমিউনিটি আই সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, কমিউনিটি আই সেন্টার থেকে ইতোমধ্যে ২০ লাখ মানুষ চোখের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন। পাশাপাশি তিন লাখ মানুষ পাওয়ার চশমা পেয়েছেন বিনামূল্যে। স্বাস্থ্যের অনেকগুলো দিক রয়েছে তবে প্রধানমন্ত্রী আপনি চোখের বিষয়টা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এর ফলে দেশে অন্ধত্বের হার প্রায় এক শতাংশ নেমে এসেছে। যা আগের তুলনায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কম। পাশের দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা দেখতে পাই, ভারতে প্রায় পৌনে দুই পার্সেন্ট মানুষ অন্ধ, নেপালে প্রায় আড়াই শতাংশ এবং বাংলাদেশে দেড় শতাংশের কম অন্ধত্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, শিশুরা যে রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো সেটাও বর্তমানে অনেক কমেছে। শিশুদের অন্ধত্ব রোগ আগে প্রায় তিন শতাংশ ছিল এখন সেটা প্রায় শূন্যে নেমে গেছে আমাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন গ্রহণের মাধ্যমে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, চক্ষু রোগের চিকিৎসায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। আমাদের দেশে চোখের ছানিজনিত কারণে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ অন্ধ থাকে। প্রতিবছর আরও দেড় লাখ মানুষ চোখের ছানিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। সারা বছরে সাড়ে চার লাখ মানুষকে চিকিৎসা দিতে ও অপারেশন করতে পারি। আমরা দেখেছি প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই ছানিজনিত কারণে অন্ধত্ব বরণ করে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক কারণেই চোখের রোগ হয়ে থাকে, তারমধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস। অসংক্রামক রোগ বাড়ার ফলে চোখের রোগও বাড়ছে। আমরা অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি যেন চোখের রোগও কমে আসে। মরণোত্তর চক্ষু দান করার মাধ্যমেও অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব। তবে দেশে এ কার্যক্রমটি তেমন গতি লাভ করেনি।

তিনি বলেন, কমিউনিটি আই কেয়ার সেন্টারে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়েছে। দেশের গ্রাম-গঞ্জে ডিজিটাল প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। আমরাও স্বাস্থ্য সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছি। কমিউনিটি আই কেয়ার সেন্টারের কাজকর্ম ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমেই হচ্ছে।

কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জীবনকে সুন্দর রাখে স্বাস্থ্যসেবা। একজন মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চোখ, যা দিয়ে মানুষ এ সুন্দর পৃথিবী ও প্রকৃতি এবং আপনজনকে দেখতে পারে, নিজের জীবনে শিক্ষা দীক্ষায় উন্নত করে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারে। অন্ধত্ব দূর করতে আমরা ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।   

নতুন কমিউনিটি আই সেন্টারগুলোর মধ্যে সিলেট বিভাগে ১৯টি, খুলনা বিভাগে ১৬টি, রাজশাহী বিভাগে ১৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগে দুটি, চট্টগ্রাম বিভাগে দুটি, রংপুর দুটি এবং ঢাকা বিভাগের আরও নয়টি কমিউনিটি আই সেন্টার যুক্ত হয়েছে।  

কমিউনিটি আই সেন্টারগুলোতে চোখের চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রয়েছে ফান্ডাস ক্যামেরা, রেটিনাল লেজার মেশিন, অফথ্যালমিক সার্জিক্যাল মাইক্রোস্কোপ, ফ্যাকো মেশিন, ভিজুয়াল ফিল্ড অ্যানালাইজার, এ স্ক্যান, বি স্ক্যান, ক্যারাটোমিটারসহ অটোরিফ্লাক্টোমিটার, অ্যাপ্লানেশন টোনোমিটারসহ স্লিট ল্যাম্পসহ আরও অনেক যন্ত্রপাতি।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা