হাঁটু নিয়ে হেলাফেলা নয়
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২১
‘হাঁটু’ শব্দটি ছোট্ট হলেও এর উপরে নির্ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা, হাঁটা-চলা, শোয়া-বসা। সহজ করে বললে, হাঁটুর জয়েন্ট অনেকটা দরজার কব্জার মতো। দরজার কব্জার তো একটি লক থাকে, কিন্তু হাঁটুর কবজার তিনটে লক- ফিমার (কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত পায়ের হাড়), টিবিয়া (হাঁটু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পায়ের হাড়) এবং এই দুইয়ের মাঝে থাকে কার্টিলেজ ও মালাইচাকি। পাতলা ফাইবার দিয়ে তৈরি কার্টিলেজ স্নায়ুহীন। হাঁটুর জয়েন্টে এটা অনেকটা কুশনের মতো কাজ করে। কার্টিলেজ নষ্ট হয়ে গেলে ফিমার ও টিবিয়ার মধ্যে সরাসরি ঘষা লাগে। শুরু হয় যন্ত্রণা।
ব্যথার কারণ: বাত বা আর্থ্রাইটিস, ইনফেকশন, রক্তে শর্করা ও ইউরিক অ্যাসিড বিভিন্ন কারণে কার্টিলেজ নষ্ট হয়।
বাত বা আর্থ্রাইটিস প্রায় একশো রকমের। তার মধ্যে কার্টিলেজ ক্ষতি হয় অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের জন্য। এটি বংশগত কারণেও হয়। কিন্তু ওবেসিটি, গাউট, ডায়াবিটিস, যক্ষা, অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড, হরমোনের হেরফের এবং পুরনো আঘাতের জন্যও অস্টিয়ো আর্থ্রাইটিস মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। শুধু নারীরা নন, পুরুষরাও হাঁটুর ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন। পরিসংখ্যান বলছে, মোটামুটি ষাট বছরের পরে পুরুষদের এই সমস্যা শুরু হয়। কিন্তু মহিলারা হাঁটুর সমস্যায় আক্রান্ত হন পঁয়তাল্লিশের পর থেকেই। মেনোপজের কারণে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমতে থাকে। ফলে হাড়ে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-র পরিমাণ কমে যায়। পরিণামে হাড়ের ক্ষয়বৃদ্ধি এবং জয়েন্টের স্থিতিস্থাপকতার হ্রাস।
কারণ যা-ই হোক না কেন, এই হাঁটুর ব্যথা অধিকাংশ সময়েই এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছন্দপতন ঘটে। অনেকেই মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই গাদা গাদা পেন কিলার খেয়ে ফেলেন। যা যকৃতের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই ধরনের ওষুধে ব্যথা সাময়িকভাবে কমলেও আদপে সমস্যা বাড়তেই থাকে। অথচ ক’টি কথা মাথায় রাখলে এই ব্যথার উপশম মেলে।
ওজন কমাতে হবে: যন্ত্রণা আটকানোর জন্য অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সুষম আহার ও ব্যায়াম। যাঁদের ইতিমধ্যেই হাঁটুর সমস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে, তাঁরা জিমে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পায়ের ব্যায়াম: হাঁটুর ব্যথায় ফাঁকি না দিয়ে করতে হবে পায়ের ব্যায়াম। তার মধ্যে অবশ্যই স্ট্রেচিং। পা টান করে হাঁটু এক বার ফ্লেক্সিবল করে ছাড়তে হবে, আবার শক্ত করে ধরতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বা অফিসে কাজ করার ফাঁকে এই ভাবে স্ট্রেচিং করতেই পারেন। এ ছাড়া নিয়মিত চল্লিশ মিনিট হাঁটুন। অফিসে একটানা বসেনা থেকে কাজের ফাঁকে নিজের আসন থেকে উঠে একটু হেঁটে আসুন। ইন্টারনেট দেখে বা বই পড়ে নয়, ব্যায়াম করার আগে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। নিয়মিত সাঁতার কাটলেও উপকার পাওয়া যায় হাঁটুর ব্যথায়।
পা মুড়ে বসা নয়: মাটিতে পা মুড়ে বসে কাজ করবেননা। সিঁড়ি দিয়ে বেশি ওঠানামা না করা, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রান্না না করা, বাথরুমে কমোড ব্যবহার এগুলো মাথায় গেঁথে নিন।
ভাল জুতো: হাঁটুর ব্যথার হ্রাস-বৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভর করে জুতোর উপরে। ব্যথার জন্য এখন বিভিন্ন ধরনের কমফর্ট শু পাওয়া যায়। এছাড়া পরতে পারেন ভাল কোম্পানির স্পোর্টস শু। এড়িয়ে যান শক্ত চামড়ার জুতো এবং হিলস। ছোট থেকেই জুতো সম্পর্কে সচেতন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। প্রয়োজন না হলে হিলস না পরাই ভাল।
ডায়েট: শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করতে রোজকার খাবারে থাকা উচিত ঘরে পাতা টক দই, সবুজ আনাজপাতি, মৌসুমী ফল, ছোট মাছ, মুরগির মাংস, আমন্ড। যাদের গাউট বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তারা ডায়েট থেকে বাদ দিন পালং শাক, মসুর ডাল, কাঁচা টমেটো। মেথি, হলুদ, আদা যেকোনো ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এর জন্য সারা রাত উষ্ণ জলে ভেজানো মেথির পানি খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। এক কাপ পানিতে হলুদ ও আদা ফুটিয়ে অর্ধেক হয়ে এলে ঠান্ডা করে মধু দিয়ে খেতে পারেন। হাঁটুর ব্যথায় অ্যালকোহল এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
হাঁটু প্রতিস্থাপন: এটি অবশ্য একদম শেষ উপায়। কার্টিলেজ পুরোপুরি নষ্ট না হওয়া অবধি হাঁটু প্রতিস্থাপনের প্রশ্নই ওঠে না। যখন দু’টো পা একেবারে বেঁকে যায় এবং অপারেশন করেও কার্টিলেজ উদ্ধার করা যায়না, তখনই হাঁটু প্রতিস্থাপন করতে হয়।
- মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
- উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- আ. লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে
- গাজাইস্যুতে পশ্চিমারা নিছকভণ্ডামি করছে:মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
- প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত
- শ্যামলকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
- অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধে কাজ শুরু
- উপজেলা নির্বাচন
১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ - আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ, কখন পাবেন সাতক্ষীরার কোন আম
- সাতক্ষীরায় সাবেক পুলিশ কনস্টেবলকে কুপিয়ে হত্যা
- তৃতীয় দিনেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
- আগুনে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: বন সংরক্ষক
- ছয় বিভাগে হতে পারে কালবৈশাখী, তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি
- ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে খুলনায় ছাত্রলীগের মিছিল
- খুলনায় স্মার্টবাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমেরভূমিকা শীর্ষককর্মশালা
- আল্লাহর পরিচয় জানা মানুষের প্রধান দায়িত্ব
- বাগেরহাটে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে দুই যুবক আটক
- গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
- সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌ ও বিমান বাহিনী
- মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী:প্রধানমন্ত্রী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- আকাশে ঘটতে চলেছে বিশাল তারকা বিস্ফোরণ
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- ডুমুরিয়ায় আবারো ট্রাকের ধাক্কায় মাদ্রাসার ছাত্র নিহত
- প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন মেয়র খালেক ও খায়রুজ্জামান লিটন
- পটুয়া সঙ্গীত বা পটের গান সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি?