• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

উদ্বোধনের অপেক্ষায় খুলনা আধুনিক রেলস্টেশন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮  

খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি আধুনিক রেলস্টেশনের। আন্দোলন সংগ্রামের পর ধীর গতিতে হলেও প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় ও পুরানত রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে রেলস্টেশনের কাজ শুরু হলেও ২০১৮ সালের জুন মাসে কার্যসমাপ্তি হয়। তবে কার্যসম্পাতির আগেই ২০১৮ সালের ৩রা মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটির উদ্বোধন করেন। যার ফলশ্রুতিতে কার্যসমাপ্তির পর পুনরায় রেলস্টেশনের উদ্বোধন করা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একাধিকবার সময় চাওয়া হলেও সময় মেলেনি। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে এক রেলস্টেশন একাধিকবার উদ্বোধন করা যাবে না। অথচ প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার সময় রেলস্টেশনের কাজ অনেকাংশ অসমাপ্ত ছিল। যার ফলে কার্যসমাপ্তির পর কোন ধরণের উদ্বোধন ছাড়াই চালু হতে যাচ্ছে খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন। চলতি মাসের যে কোন সময় রেলমন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললে নতুন রেলস্টেশন থেকে হুইসেল বাঁজা শুরু হতে পারে। এদিকে পুরাতন রেলস্টেশনের মতই দূর্ভোগ থেকে গেছে আধুনিক রেলস্টেশনে নির্মাণে। ফ্লাটফর্ম থেকে ট্রেনের মেঝে ২৩ ইঞ্চি অর্থাৎ প্রায় দুই ফুট উঁচুতে। ফলে নতুন স্টেশনেও ট্রেনে উঠতে দুর্ভোগে পড়তে হবে যাত্রীদের। 
জানা যায়, দীর্ঘ আন্দোলন শেষে ২০০৭ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। এর নাম দেওয়া হয় ‘রিমডেলিং অব খুলনা রেল স্টেশন অ্যান্ড ইয়ার্ড’। একাধিকবার সংশোধনের পর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ধীরগতির কারণে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। সম্প্রতি এই কাজ শেষ হয়েছে। স্টেশন নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। আধুনিক রেলস্টেশনে প্রায় ২২ হাজার বর্গফুট আকারের নতুন তিনতলা স্টেশন ভবন, ১ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের ১ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে তিনটি প্লাটফর্ম, ৭৮৪ বর্গমিটারের একটি লিংক করিডোর, সীমানা প্রাচীর, সুবিশাল গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাতের কাজ শেষ হয়েছে। প্রস্তুত হয়েছে নতুন রেললাইনও। 
এ ব্যাপারে প্রকল্পের কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। নকশাতে ২ ফুট ৬ ইঞ্চি ব্যবধানের কথা বলা ছিলো। তিনি আরও বলেন ২০১৫ সালের এপ্রিলে আধুনিক রেলস্টেশনের কাজ শুরু হলেও ২০১৮ সালের জুন মাসে কার্যসমাপ্তি হয়। তবে এর আগে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেন। তবে কার্যসমাপ্তির পর পুনরায় উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সময় চাওয়া হলেও তা মেলেনি। তবে তিনি আর উদ্বোধন করবেন না বলে জানা গেছে। এখন রেলমন্ত্রনালয়ের অনুমতি মিললে নতুন রেলস্টেশন থেকে রেলগাড়ি যাওয়া-আসা শুরু করতে পারবে। নতুন স্টেশনের ৮টি লাইন রয়েছে। তবে একসাথে ৬টি ট্রেন অবস্থান করতে পারবেন। 
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা