সাটুরিয়ায় ধর্ষিত তরুণীকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দুই পুলিশ সদস্য এক তরুণীকে বাংলোয় আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। 

আদালতে চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে এ রিট করা হয়। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম। তিনি জানান, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দুই পুলিশ সদস্য এক তরুণীকে ডাক বাংলাতে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় আদালত নির্দেশনাসহ রুল জারি করেছেন।    

রুলে ভিকটিমকে কেন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং হাউজ, মোটেল, গেস্ট হাউজ, হোটেল, ডাক বাংলো, পুলিশ স্টেশন, পুলিশ স্টেশনের রেস্ট রুম, সেফ হোমে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি থেকে রক্ষায় একটি স্কিম ও গাইডলাইন তৈরির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আব্দুল হালিম আরও বলেন, রুল ছাড়াও আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনাও দিয়েছেন। ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ওই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট/কেস ফাইলসহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে হবে।

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে সাটুরিয়া থানায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার আগে দু’জনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তখন দুই কর্মকর্তাকেই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

মামলার পরদিন সকালে দু’জনকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।

পরে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার তাদের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে পাঠানো দু’জন হলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।