ইছামতি নদী থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারীর মৃতদেহ উদ্ধার

যশোরের শার্শা সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর ৫ কেজি ২৭০ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্নের বারসহ মশিউর রহমান (৫০) নামে একজন পাচারকারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সীমান্তের অগ্রভুলোট এলাকার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের সীমান্ত ঘেঁষা ইছামতি নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে উক্ত গ্রামের মৃত গোলাম রহমানের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় কিছু লোক মশিউরকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। রাত বাড়ার পর সে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। পরে জানতে পারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বক্সের ছেলে হাবিব ও জেহের আলীর ছেলে জামাল হোসেন তাকে স্বর্ণের একটি চালান দিয়ে ভারতে পাঠিয়েছে। পথিমধ্যে ইছামতি নদী পার হওয়ার সময় নদীতে পড়ে যায় মশিউর। সে থেকেই নিখোঁজ ছিলো মশিউর। তিনদিন খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গতকাল সকালে ১৭/৭ এস আর ৬০ পিলারের ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মৃতদেহটি ভেসে ওঠে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এ উদ্ধারের সময় তার শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় ৫ কেজি ২৭০ গ্রাম ওজনের ৪০ স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

জামাল ও রহিম বক্স নামে দুই চোরাকারবারি মশিয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানায় স্বজনেরা। তারা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন, নদীতে ভেসে থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনা উদ্ঘাটনে পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ চেষ্টা করছে। উদ্ধার স্বর্ণ যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে জানান ওসি।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার ৫ কেজি ২৭০ গ্রাম ওজনের ৪০ স্বর্ণের বারসহ মশিউর রহমান নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত স্বর্ণ ও মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।