• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

‘বাবা মিথ্যা মামলায় জেলে, কী দরকার দেশের জন্য ক্রিকেট খেলে’

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯  

প্রতিবেশী পুলিশের স্ত্রীর করা মামলায় জেল হাজতে আছেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় শামীমা সুলতানার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সলেমান শেখ (৭৪)। এ বিষয়ে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের এই উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কী দরকার দেশের জন্য ক্রিকেট খেলে, যদি আমার মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ বাবাকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়?’

মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের সলেমান শেখ একটি নারী নির্যাতন মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে। তার মেয়ে শামীমা বর্তমানে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন। বৃদ্ধ বাবার জেলে যাওয়ার খবরে তিনি সেখানে থেকে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন।

শামীমার পরিবারের দাবি, সলেমান শেখ গবাদী পশুর খাবারের ব্যবসা করেন। সম্প্রতি তিনি প্রতিবেশী এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের কাছে বাকিতে কিছু গরুর খাবার বিক্রি করেন। ওই পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে আনোয়ারার ছেলে আশিকুর রহমান তাকে মারধর করেন। একজন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত তোলায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আশিকুর রহমানকে মারধর করেন। আহত আশিক মাগুরা সদর হাসপাতালে ৪-৫ দিন থেকে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনার পুলিশ সদস্যর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম শনিবার শ্রীপুর থানায় নারী নির্যাতন ও ছেলেকে মারধরের অভিযোগে সলেমান শেখ, তার স্ত্রী, ছেলে, ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রীসহ আরও ৪-৫ জনের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ ওই দিনই সলেমান শেখকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।

শামীমা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আনোয়ারা বেগমের পরিবারটি আমার বাবাসহ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমার বৃদ্ধ বাবার বয়স ৭৪ বছর হলেও মামলায় ৫৭ বছর দেখিয়ে নারী নির্যাতন মামলা দিয়েছে।

মামলার বাদী আনোয়ারা বেগম বলেন, সামান্য পাওনা টাকার জন্য সলেমান শেখ আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। এমনকি আমার ছেলে আশিককে ধরে নিয়ে মারধর করে বাড়িতে আটকে রাখে।

শ্রীপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, আইন সবার জন্য সমান। তবুও ক্রিকেটার শামিমার ওপর সম্মান দেখিয়ে ঘটনার পরও স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা মিমাংসা করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা