• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ব্যবসায়ীদের নিয়ে আবারো বৈঠকে বসতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ভারত থেকে আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই। রাজধানীর বাজারগুলো পাইকারিভাবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় যা কিনতে খুচরা বাজারে ব্যয় করতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।

একদিনের ব্যবধানে প্রায় ১০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হলেও বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলছেন, এ সমস্যা একেবারেই সাময়িক।ভারতের মূলত: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের হঠাৎ করে শুল্ক বৃদ্ধি করাই এর অন্যতম কারণ। যদিও আমরা এর আগে বলে বলেছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে না। সবাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করছেন। তবে এ সংকটও থাকবে না দাবি করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা বিকল্প আমদানি দেশ হিসেবে মিয়ানমার থেকে আমদানি শুরু করেছি। আমি যতদূর জানি এলসি ওপেন হয়ে গেছে। মিশর থেকেও আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। ডিসেম্বরের দিকে দেশীয় পেঁয়াজও ঘরে উঠবে। তাই খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে। আমরা শুধু সবাইকে একটু ধৈর্য্য ধরার আহ্বান করবো।

তবে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কীভাবে রোধ করা যায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় খুব শিগগীরই আবারও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে বসবে বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমরা সব সময়ই দেখি সংকটকালীন সময়ে একশ্রেণির ব্যবসায়ী লোকজনকে জিম্মি করে পণ্য বিক্রিতে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করে। যা খুবই অন্যায়। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা এর আগেও ব্যবসায়ীদের সাথে বসেছি। কিন্তু যেহেতু ওই বৈঠকের প্রত্যক্ষ কোনো ফলাফল পাওয়া যায় নি তাই আবারও খুব শিগগীরই পেঁয়াজ আমদানিকারকসহ পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা বৈঠকে বসবো। আশা করছি এর মাধ্যমে একটা না একটা সমাধান বের হয়ে আসবে।

এদিকে শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার মধুবাগ বাজার, শান্তিনগরবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় বিক্রেতারা ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। একই পেঁয়াজ পাড়ার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। মগবাজার চেয়ারম্যান গলির আফরিন জেনারেল স্টোরের স্বত্তাধিকারি সোহানুর রহমান বলেন, পাইকারি বাজার থেকেই আমাদের ৭৮ থেকে ৮০ টাকা কিনতে হয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে ৯০ টাকা নিচ্ছি। কেউ কেউ আবার ৯৫ টাকায়ও বিক্রি করছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের (টিসিবি) ট্রাকে এখনো অন্যদিকে টিসিবির ট্রাক সেল থেকে ৪৫ টাকা কেজিদরেই পেঁয়াজ কিনতে পারছেন ক্রেতারা। পুরো রাজধানীতে মাত্র ৫ টি ট্রাকে করে এই পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় সবার পক্ষে তা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে দুই একদিনের মধ্যেই ট্রাকের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে জানান টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, আমাদের এক একটা ট্রাকে ১০০০ কেজি করে পেঁয়াজ সরবরাহ করা হচ্ছে ডিলারদের মাধ্যমে। এখান থেকে প্রত্যেক ক্রেতা ২ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। যদিও এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ট্রাক আমরা রাজধানীতে নামাতে পারি নি। তবে দুই একদিনের মধ্যেই শুধু রাজধানীতেই নয় দেশের অন্যান্য জায়গায়ও টিসিবি’র ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি হবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই ক্রেতারা এখান থেকে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা