• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ড. কামালের নেতৃত্বে বিএনপির ক্ষতিই হয়েছে : গয়েশ্বর

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৯  

ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ড. কামালের নেতৃত্বে চলে বিএনপি'র উপকার নয় বরং ক্ষতি হয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

ঐক্যফ্রন্টের জ্যেষ্ঠ এ নেতা ড. কামালকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'যিনি খালেদা জিয়াকে ওন করেন না, যিনি বিএনপির আবেগ ওন করেন না, যিনি জিয়াউর রহমানকে ওন করেন না, তাকে সামনে রেখে পথ চললে সেই পথ অতিক্রম করা সম্ভব? এটা আমি তো মনে করি না।'

ঐক্যফ্রন্টের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস‌্য বলেন, 'তাদের মান রাখার জন্য কখনো কখনো আমাদের আপস করতে হয়।'

প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'যে একসঙ্গে থাকার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না, সেই একসঙ্গে থাকার তাৎপর্যটা কি!'

তিনি বলেন, 'আমরা একসঙ্গে হয়ে নির্বাচনে গেলাম বলেই খালেদা জিয়ার জন্য জেলখানা চিরস্থায়ী হয়ে গেল। আমরা যদি ওই সময় নির্বাচনের বিষয় প্রাধান্য না দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য দিতাম, তাহলে কাজটা খুব কঠিন হতো বলে আমার মনে হয় না। যে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে গেলেন না, অথচ আমরা আরেকজনের মাধ্যমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাওয়াত চাইয়া নিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওয়াত দেয়নি। দাওয়াতটা চাইলো কে? ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেন। সুতরাং এই যে চাইয়ে নেওয়া, তাহলে এখানে আমরা খালেদা জিয়াকে কি ছোট করি নাই? আর গেলাম, গেলাম একটু ছোট হয়েও যদি নেত্রীকে মুক্ত করতে পারতাম, তাহলেও তো সাধারণ মানুষের কাছে দুটি কথা বলতে পারতাম।’

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, 'আমরা আমাদের প্রাধান্যটা ঠিক করতে পারি নাই। আমরা আমাদের ইউনিটিটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। হ্যাঁ, ইউনিটির একটা দরকার ছিল। জনগণ ইউনিটি একটা দেখতে চায়। সেই ইউনিটির মাধ্যমে কি দেখতে চায়? একটা মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চায়। গণতন্ত্রের মুক্তি দেখতে চায়। নাকি? কিন্তু আমরা ইউনাইটেড হলাম, গণতন্ত্র মুক্তি পেল না, ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে শেষ হল। তারপরে খালেদা জিয়া জেলখানায় রইল।’

অপেক্ষা না করে বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ না করে দুই-একজন পার্লামেন্টে চলে গেল-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে কোন কাজেই আমাদের বাকি নেই। এখন জনগণকে সন্তুষ্ট করা এবং জাতীয়তাবাদী দলের প্রাণশক্তি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কাজটি একটু দায়িত্ব নিয়ে করা দরকার।’

মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়াউর রহমান এবং গণতন্ত্র খালেদা জিয়া স্লোগানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ‌্যে ‘গণতন্ত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান' শীর্ষক এ আলোচনা সভা ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি।

জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, 'জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখতেন না, জিয়াউর রহমান বাস্তবে করতেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেননি, তিনি যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন এবং নিজে যুদ্ধ করেছেন।'

তিনি বলেন, 'আমরা প্রায়ই দেখি কারো কারো স্বপ্ন, কারো কারো কন্যা, কারো কারো পুত্র, কারো ভাইয়ের স্বপ্নের কথা বলতে শুনি। হয়তো একদিন শুনবো পিতার স্বপ্ন ছিল, আবরার হত্যার ব্যাপারটা। হয়তো একদিন শুনবো, নুসরাতের মত ঘটনাটাও পিতার স্বপ্ন ছিল। এই যে এত স্বপ্ন! তার মানে বাস্তবতার সাথে তাদের সম্পর্ক থাকে না, তারাই স্বপ্ন দিয়ে জনগণের মাঝে বেঁচে থাকতে চায়।

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। এটা নিয়ে অনেকে অনেক রকম প্রশ্ন তুলতে চান। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে, শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন এবং এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমার কাছে ৩৮টি বই আছেন দেশি-বিদেশি লেখকের। সেসব জায়গায় জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, পরিষ্কার ভাবে লেখা আছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা