কোন ধরনের আগুন কীভাবে নেভাবেন?

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, চুলা থেকে লাগা আগুন এবং সিগারেটের আগুন। যত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তার ৭২ শতাংশই ঘটে এই তিনটি কারণে।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে অগ্নি দুর্ঘটনার সংখ্যা ৮৫ হাজারেরও বেশি যাতে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

কিন্তু এ কারণগুলো এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সাধারণ মানুষজন কতটা জানেন?

দমকল বাহিনীর অপারেশন্স বিভাগের উপ পরিচালক দিলিপ কুমার রায় বলছেন, আবাসিক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে মানুষজন সবচেয়ে বড় ভুল যেটি করেন তা হলো অনেকে রান্নার পর চুলা জ্বালিয়ে রাখেন। চুলার আশপাশে অনেকেই শুকনো পদার্থ, কাগজ, কাপড় বা অন্যান্য দাহ্য পদার্থ রাখেন। শিশুদের হাতের নাগালে গ্যাসের চুলা ও ম্যাচের কাঠি অনেক সময় বিপদের কারণ হতে পারে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের বড় কারণ হিসেবে মি. রায় বলছেন, বিদ্যুতের তার সঠিকভাবে না নেয়া, অনেক বেশি মাল্টি প্লাগ ব্যবহার করা, বাড়ির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার ক্ষমতার বাইরে বেশি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা, বৈদ্যুতিক তার বা সরঞ্জামের সঙ্গে পানির সংস্পর্শ।

মশার কয়েলও বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সাবধান করেন মি. রায়। মশার কয়েল ব্যাবহারে হয়ত আপনি মশা থেকে বাঁচলেন কিন্তু এটি আবাসিক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের বড় উৎস।

এছাড়া বিদ্যুৎ চলে গেলে মোমবাতি ব্যবহারও ঝুঁকিপূর্ণ। সিগারেট খাওয়ার পর তা কোথায় ফেলছেন এব্যাপারে সতর্ক থাকেন না অনেকে।

সেটি গ্যাসের লাইনের ওপরে পড়তে পারে অথবা শুকনো কাগজ বা পাতার ওপর পরে আগুন ধরে যেতে পারে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সিগারেট খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়াও বিপদের অন্যতম কারণ।

কোন ধরনের আগুন কীভাবে নেভাবেন?

দিলিপ কুমার রায় বলছেন, শুষ্ক বস্তুর আগুন যেমন কাগজ, কাপড় বা গাছের পাতায় আগুন লাগলে নেভানোর সবচেয়ে ভালো উপায় পানি।

তবে রান্না করার সময় গরম তেলে আগুন লাগলে কড়াইটির ওপরে কোন ঢাকনা দিতে হবে।

পেট্রল বা ডিজেলের মত তেলে আগুন লাগলে পানি ব্যবহার করলে বরং বিপদ। এক্ষেত্রে আগুন যদি ছোট হয় তবে বালি, বস্তা, কাঁথার মত ভারি কাপড় দিয়ে সেই আগুন ঢেকে দিতে হবে।

জ্বালানি তেলের আগুনে সবচেয়ে বেশি কাজ করে ফেনা জাতীয় পদার্থ। গ্যাসের আগুনে কার্বন ডাই-অক্সাইড সবচেয়ে ভালো কাজ করে। খবর বিবিসি বাংলার।