• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

শান্তিনগর সেতু নিয়ে অশান্তিতে এলাকাবাসী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

পাবনার ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে চরকুড়লিয়া গ্রাম। এ গ্রামেরই শান্তিনগর এলাকার মানুষ একটি সেতু নিয়ে চরম অশান্তিতে রয়েছে।

এলাকাবাসীর স্বপ্নের এই সেতুটির নির্মাণ কাজ ১১ মাসে শেষ করার কথা থাকলেও তা শেষ হয়নি ২৩ মাসেও।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রভাবশালী ঠিকাদার খেয়ালখুশি মতো কাজ করায় নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। কবে নাগাদ এই সেতুর কাজ শেষ হবে তা নিয়েও সংশয়ে এলাকাবাসী। সেতুর নির্মাণ শেষ না হওয়ায় নৌকা ও কলাগাছের ভেলা দিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষকে।

২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি পদ্মার শাখা নদীর উপর শান্তিনগর সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৫ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ১১৮ টাকা ব্যয়ে ৯৬ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্য এই সেতুর নির্মাণ কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে পেয়েছেন নাটোরের মীর হাবিবুল আলম এন্ড মীর শরিফুল আলম জেবি নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নির্মাণ কাজ করছেন পাবনার ঠিকাদার ফিরোজ প্রধান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই সেতুর নির্মাণ সময়কাল ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট অথচ নির্মাণ কাজ শুরুই হয় নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৫ মাস পর ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। নির্মাণ কাজ শুরুর পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবারো দুই মাস কাজ বন্ধ করে রাখে। এরপর কখনও কাজ চলেছে, কখনও বন্ধ থেকেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ বিলম্বিত করায় নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে এ সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

এছাড়াও সেতুর পাশে বিকল্প কোন উপায় তৈরি না করায় শুষ্ক মওসুমেও এই অঞ্চলের মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বললেন, শান্তিনগর বাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে বিলম্বিত করায় এলাকাবাসী হতাশ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, সেতু নির্মাণ কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো। কিন্তু ঢিলেঢালাভাবে কাজ হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হয়নি।

ঠিকাদার ফিরোজ প্রধানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে সময়মতো কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। খুব শিগগির কাজ শুরু করে দ্রুততম সময়ে শেষ করা হবে।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির বলেন, ‘এ সেতুর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারকে সময়মতো বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি বলে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আশাকরি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই সেতুর কাজ শেষ করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা