• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সিটি নির্বাচনে পরাজয়ে শোকে কাতর বিএনপি, নির্বিকার তারেক!

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে বিএনপির শেষ আশার প্রদীপটিও নিভে গেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এখন আর তাদের কাছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কোন পথ খোলা রইলো না।  অথচ এসবে ভ্রুক্ষেপ নেই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।
সূত্র বলছে, সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা দিয়ে তারেক কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। এজন্যই দলের দুর্দিনে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপিতে এখন শোকাচ্ছন্ন আবহাওয়া। ২০ দলের অন্তর্গত শরীক দল জামায়াতেও একই অবস্থা। এ কারণে ২ ফেব্রুয়ারি দলের ডাকা হরতালেও সাড়া মেলেনি। উপরন্তু হরতালের দিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দেখা গেছে রোদ পোহানোর সঙ্গে সঙ্গে খোশ গল্পে মাততে। এ নিয়ে অনেকেই এই হরতাল কর্মসূচিকে ‘রঙ্গ তামাশার কর্মসূচি’ বলে তিরস্কার করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর হরতালে সমর্থন না থাকায় অধিকাংশ বিএনপি নেতাকর্মীরা ফিরে গেছেন নিজ নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিজের প্রকৌশল ব্যবসায় আর উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল গল্প করে সময় পার করছেন নিজের বীমা প্রতিষ্ঠানে। দলের কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাসও ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, সবার মাঝেই মৃত বাড়ির মতো শোক বিরাজ করছে। কারণ সর্বসাকুল্যে বিএনপির ভরসা ছিল সিটি নির্বাচন। সেখানেও ভরাডুবির ফলে ২০ দলের সর্বত্র আজ অদৃশ্য কালো ব্যাজ ঝুলছে। অথচ এতে বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই তারেক রহমানের।

এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির আজকের এই অবস্থা তাদের অতীত কাজের যোগফল। আর এর পেছনে সর্বাধিনায়কের কাজ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার কারণেই দলে এতো বিভক্তি, এতো দ্বন্দ্ব। অথচ এসবে যেন কর্ণপাতই নেই তারেকের। উপরন্তু কারণ আর কিছু না হোক, মনোনয়ন বাণিজ্য করে তার পকেটটা অন্তত ভারী হয়েছে। যার মাধ্যমে লন্ডনে তার আয়েশি জীবনযাপন আরো মসৃণ হবে।

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা আরো বলছেন, দলের ভরাডুবির প্রভাব তারেকের মধ্যে নেই। যদি থাকতো, তবে তিনি নিশ্চয়ই কোন না কোন পদক্ষেপ নিতেন। দল পুনর্গঠনে উদ্যোগী হতেন। কিন্তু তিনি তা না করে বরং বহাল তবিয়তে নিজের আখের গোছানোর তালেই আছেন। এ থেকেই অনুমেয়, বিএনপির ভবিষ্যৎ কী এবং কেমন হবে তাদের আগামীর পথচলা।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা