• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বছর জুড়েই আন্দোলনের ডাক, মাঠে নেই বিএনপি নেতারা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯  

আন্দোলনের ডাক দিলেও বছর জুড়ে রাজপথে সরব ছিল না বিএনপি নেতারা। খালেদা জিয়ার মুক্তির অঙ্গীকার ও সরকার পতনের একদফা কথার কথাই রয়ে গেছে। হয়নি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলও। অপূণর্তার বৃত্তেই ঘুরছে বিএনপির বিদায়ী বছর।

২০১৮ সালের একেবারে গোড়ায় এসে জাতীয় নির্বাচনে বিপর্যয়ের দগদগে ক্ষত নিয়েই নতুন বছর ২০১৯ শুরু করেছিল বিএনপি। নির্বাচনের ফল বর্জন করে নতুন নির্বাচনের দাবি আদায়ে শুরুতেই আন্দোলনের বার্তাও দিয়েছিল দিয়েছিল দলটি। তবে, সেই আন্দোলন ছাপিয়ে বিএনপি আলোচনায় ছিল নির্বাচনে জয়ী ৬ নেতার সংসদে শপথ নেয়া না নেয়া নিয়ে।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেয়ায় ঠাঁকুরগাও ৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমানকে বহিষ্কার ও পরে দলীয় সিদ্ধান্তে ৪ নেতার সংসদে যোগদান ভেতরে বাইরে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

দলের মহাসচিবের শপথ না নেয়ার বিস্ময়ের মধ্যেই সংরক্ষিত নারী আসনটিও ছাড় দেয়নি বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের ক্ষত নিয়েই ২০১৯ সালকে স্বাগত জানিয়েছিল বিএনপি। ফল প্রত্যাখান করে নতুন নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করার কথাও বলেছিল দলটি। আবার সরকার ও সংসদকে  অবৈধ বললেও মহাসচিবের ছেড়ে দেয়া আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। বিজয়ী প্রাথী শপথও নেয় সংসদে।

প্রায় তিনদশক পর ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল। কিন্তু এখানেও বিপর্যয়। ডাকসুর ২৫ পদের কোন একটিতেও জয় পায়নি ছাত্রদলের প্রার্থীরা।

বছর জুড়েই বিএনপির আলোচনায় ছিল চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি। আন্দোলনের মাধ্যমেই দলীয় প্রধানের মুক্তির বিষয়ে বছরজুড়ে বক্তব্য দিয়ে গেছেন দলটির নেতারা।  ছিল সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের হুঙ্কারও। কিন্তু বছর শেষে খালেদার জামিন আবেদন নাকচ হলেও মাঠে গড়ায়নি সেই আন্দোলন।

দলের সঙ্কটময় মুহুর্তে আরো একটি  দু:সংবাদ হিসেবে বিএনপির সামনে হাজির হয়  অন্যতম নেতা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যু। পাওয়া-না পাওয়ার রাজনৈতিক সমীকরণে যাই জমা হোক না কেন, বছরে শেষে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের প্রস্তুতি দিয়েই নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত বিএনপি। 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা