• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

জোট ও ফ্রন্টের মধ্যে আসন বণ্টনের নয়া চ্যালেঞ্জ বিএনপিতে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮  

 

বিএনপি এবার ভোটে যাচ্ছে দুই পাশে দুই জোট নিয়ে। একদিকে তাদের পুরানো সঙ্গী ২০ দলীয় জোট অন্যপাশে ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এখন চলছে আসন ভাগাভাগির সমীকরন। দুই জোটের অধিকাংশ শরিক তাদের চাহিদা এবং প্রার্থীদের তালিকা দিয়েছে বিএনপির কাছে। আসন বন্টন সমন্বয় কমিটি এই তালিকা নিয়ে বৈঠকের পর তা পাঠানো হবে দলের হাইকমান্ডের কাছে। সেখানে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হবে। ইতিমধ্যে ২৩০ জনের তালিকা দিয়েছে দলগুলো। তবে দলের সুত্র জানায়,২০০৮ সালের অনুরূপ আসন দেয়া হতে পারে ২০ দলীয় জোটকে । ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের দেয়া হবে জয়লাভ করতে পারেন এমন প্রার্থীদেরকে।
এদিকে বিএনপি নেতারা মনে করছেন শরিক জোট ও ফ্রন্টের সাথে আসন বন্টন নিয়ে তাদের কোন সমস্যা হবে না।একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর সাথে কিছুটা জটিলতার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা ৬২টি আসনে বিএনপির কাছ থেকে ছাড় চেয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলোতে অন্যতম শরিক হিসেবে জোটের সমর্থন পেলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সুনির্দিষ্টভাবে জামাযাতের বাতিল হওয়া ‘দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে’ বিগত দিনে যে আসনগুলোতে নির্বাচন করেছে এবারও সেই আসনগুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে বলা হবে।
২০০১ সালে চার দলীয় জোটের ব্যানারে ৩১টি (এরমধ্যে জোটবদ্ধভাবে ৩০টি এবং এককভাবে একটিতে) নির্বাচন করে জামায়াত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩৯টি আসনে জোটগত সমর্থন পেলেও চারটি থেকে দলীয়ভাবে করে। দলটির তৃণমূলের অভিমতের ভিত্তিতে এবার তাদের দাবি ৬২টি। তবে চূড়ান্তভাবে ত্রিশটি আসনে ন্যূনতম ছাড় চাড় জামায়াত। ২০০৮ সালে ২৬০ আসনে প্রার্থী ছিল বিএনপির। ৪০ আসন ছেড়ে দেওয়া হয় শরিকদের। জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হয় ৩৩ আসন। বিজেপি, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে দুটি করে এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিকে (জাগপা) একটিসহ মোট সাতটি আসন ছেড়ে ছিল বিএনপি। দলের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে ভোটে অংশ নেন। ২০১২ সালে জোট সমপ্রসারণে বিএনপির শরিক বেড়েছে। সসমপ্রতি বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রটের নামে নতুন জোট করেছে বিএনপি। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নতুন ও পুরনো মিত্রদের ধরে রাখা এবং জোটে আরও শরিক বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বিএনপি নেতারা গতকাল বেগম জিয়ার সাথে কারাগারে দেখা করলে তিনি ২০০৮ সালের ভিত্তিতে আসন্ বন্টন নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানাগেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০-দলীয় জোটের অনেক দলই তাদের প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে। সব শরিক দলের কাছ থেকে প্রার্থীর তালিকা পাওয়ার পর কত আসন ছাড়া হবে, তা আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা বা জটিলতা হবে না।

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা