• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পাইকগাছার৫ পৌরসভা প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসে নিকার অনুমোদন প্রস্তাব

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিনোদগঞ্জসহ ৫টি  পৌরসভা প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো প্রস্তাবে উলি­খিত অন্য চারটি পৌরসভা হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা পৌরসভা, পাবনার সাথিয়া উপজেলাধীন কাশিনাথপুর পৌরসভা, গাইবান্ধার সাদুল­াপুর উপজেলাধীন সাদুল­াপুর পৌরসভা এবং কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার অন্তর্গত রৌমারী পৌরসভা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নতুন সরকারের প্রথম নিকার সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদন হবে। সভার তারিখ নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী মাসে এই সভা হতে পারে। নতুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, থানা গঠন বা স্থাপনের প্রস্তাব এবং স¤প্রসারণ বা পুনর্গঠনের জন্য সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শতবর্ষ আগে বিংশ শতকের গোড়ার দিকে খুলনা জেলার কপিলমুনির বরেণ্য ব্যবসায়ী রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু কপিলমুনিবাসীর সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছিলেন প্রয়োজনীয় সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রায় সাহেবের প্রচেষ্টাতেই কপিলমুনি হয়ে ওঠে ওই অঞ্চলের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র। এই কপিলমুনি রয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সশস্ত্র যুদ্ধে জয় এবং গণআদালতের রায়ের মাধ্যমে দেড় শতাধিক যুদ্ধপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। আধুনিক কপিলমুনির স্বপ্নদ্রষ্টা রায় সাহেবের জীবণাবসানের পর নানান বাস্তবতায় তাঁর উদ্যোগগুলো প্রায় মুখ থুবড়ে পড়ে। তিন বছর আগে সেই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আন্দোলন শুরু করে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন। আন্দোলনের অন্যতম ইস্যু ছিলো কপিলমুনিকে পৌরসভায় উন্নীতকরণ। সেই দাবি বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে কপিলমুনিতে বিনোদগঞ্জ পৌরসভা গঠনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

সূত্র জানায়, নিকাবের আগামী সভায় মোট ২৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশনের সীমানা স¤প্রসারণ এবং জয়পুরহাটের জয়পুরহাট পৌরসভার সীমানা স¤প্রসারণের প্রস্তাব। নড়াইলের সদর ও কালিয়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে পুরুলিয়াকে নতুন উপজেলা গঠনের প্রস্তাব। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাংগঠনিক কাঠামোতে নতুন চারটি থানা স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাধীন গালীপুর তদন্ত কেন্দ্রকে থানায় উন্নীত করে কোমরগঞ্জ থানা স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সভার জন্য ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার লক্ষ্যে পূর্বাচল দক্ষিণ থানা এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার লক্ষ্যে পূর্বাচল উত্তর থানা স্থাপনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগ। মাদারীপুরের শিবচর ধানাধীন বাঁশকান্দি ও বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের সমন্বয়ে বাঁশকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন সিকদার মলি­ক ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আমাদের কপিলমুনি প্রতিনিধি অলিউল­াহ গাজী জানান, পৌরসভা বাস্তবায়ন আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী এস এম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ জানান, শতবর্ষ আগে বিংশ শতকের গোড়ার দিকে খুলনা জেলার কপিলমুনির বরেণ্য ব্যবসায়ী রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু কপিলমুনিবাসীর সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তুলেছিলেন প্রয়োজনীয় সকল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তার প্রচেষ্টাতেই কপিলমুনি হয়ে ওঠে এই অঞ্চলের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মান করে তিনি হয়ে ওঠেন আধুনিক কপিলমুনির রূপকার। এই কপিলমুনি রয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সশস্ত্র যুদ্ধে জয় এবং গণআদালতের রায়ের মাধ্যমে দেড় শতাধিক যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। আধুনিক কপিলমুনির স্বপ্নদ্রষ্টা রায় সাহেবের জীবনাবসানের পর নানান বাস্তবতায় তার উদ্যোগগুলো মুখ থুবড়ে পড়লেও বর্তমান সরকারের স্বদিচ্ছায় বিনোদগঞ্জ পৌরসভা গঠনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা