খুলনার ভূতিয়ার বিলে পদ্মফুলের সমাহার
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পদ্ম পাতার ফাঁকে সূর্যের সোনালি আভা। ওপরে শরতের আকাশ, নিচে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।
বিলের চারপাশে সবুজের সমাহার আর ফুটে থাকা অজস্র পদ্মফুল শোভা ছড়াচ্ছে দর্শনার্থীদের মাঝে। ফলে প্রতিদিন বিলে এসে ভিড় করছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা প্রকৃতিপ্রেমীরা। বিলের পদ্ম ফুলের আকৃষ্টতা দেখে দুই নয়নে তাকিয়ে থাকছেন তারা।
ডিঙি নৌকায় ভেসে জলের ছন্দ তালে পদ্ম ফুল স্পর্শ করার টানে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকে। নৌকায় বিলে ঢুকলে মনে হবে যেন অভ্যর্থনা জানাচ্ছে পদ্মফুল। মন ভোলানো দৃশ্য দেখলে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। অনেকেই পদ্মফুলের সাথে কাটানো সময়ের স্মৃতি ধরে রাখতে তুলছেন ছবি।
প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য খুলনার তেরখাদা উপজেলার ভূতিয়ার বিল যেন এক স্বর্গ রাজ্য। হাজার হাজার পদ্ম ফোটে আছে সমগ্র বিলজুড়ে।
ভূতিয়ার বিলে ছেলে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মো. এমএ মুন্না। তিনি বলেন, পদ্মফুলের সৌন্দর্য দেখতে খুলনা শহর থেকে এখানে এসেছি। চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই শুধু পদ্ম আর পদ্ম। সত্যিই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
এখানে ঘুরতে আসা অনেকেই বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে ফোটা এই পদ্মফুলের বিলটিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা যায় মৌসুমি পর্যটন কেন্দ্র। পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে এটি হতে পারে জলাবদ্ধ এলাকা ভূতিয়ার বিল সংলগ্ন হতদরিদ্র মানুষের বাড়তি আয়ের উৎস।
জানা যায়, ভূতিয়ার বিলকে কেন্দ্র করে মৌসুমি কর্মসংস্থান চাঙা হয়ে উঠেছে। ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতিতে এখানে বাড়ে নৌকার কদর। গত কয়েক বছর প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে পদ্মবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নৌকার মাঝি বনে গেছেন তেরখাদা এলাকার অনেকেই। দেশি মাছের ভাণ্ডার পদ্মবিল। কৈ, শিং, মাগুরের মজুদ এখানে। এছাড়া রয়েছে শৈল, গজাল, রয়না, খলিশা, পুঁটিমাছসহ দেশি অনেক প্রজাতির মাছ। শীতে পানি কমতেই জাল, পোলো নিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়ে অনেকেই।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধ এলাকার মধ্যে অন্যতম ভূতিয়ার বিল। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে উপজেলার ‘দুঃখ’ বলে পরিচিত এই বিল। বছরের অধিকাংশ সময়ে এখানে ফসলাদি হয় না। সরকারের ‘ভাসমান সবজি ও মসলা চাষ’ প্রকল্পের আওতায় গত তিন বছর ধরে এ এলাকায় ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে।
বর্তমানে এলাকার ১০ হাজার হেক্টর জমি এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৮০টি ভাসমান বেড। আর এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন শতাধিক ভূমিহীন কৃষক। ফলানো হচ্ছে লাউ, কুমড়া, ঝিঙে, শিম, বরবটি, করলা, কাঁকরোল, লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, কলমিশাক, আলু, পটোল, তরমুজ, বাঙ্গি, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, হলুদ, আদা ইত্যাদি।
খুলনার তেরখাদা উপজেলা এবং নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে ভূতিয়ার বিল। এই বিলের আয়তন প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর। এর মধ্যে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমিতে পদ্মফুল ফোটে। আর গোটা বিলই শ্যাওলা ও আগাছায় ভরা। এই বিলের চারদিকে ২২টির মতো গ্রাম রয়েছে। আঠারোবাঁকি ও চিত্রা নদী দিয়েই মূলত বিলের পানি নিষ্কাশিত হয়। তবে নদীগুলো এখন মরে গেছে। ভরাট হয়ে গেছে বিলের মধ্য দিয়ে একসময়কার প্রবহমান খালগুলো। তাই বছরের পর বছর জলাবদ্ধ ভূতিয়ার বিল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কপিল দেব বসাক বলেন, ভূতিয়ার বিলে পদ্ম ফুলের পাশাপাশি ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। এলাকায় এ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। এসব কৃষকদের আমরা নানা ভাবে সহযোগিতা করছি।
কীভাবে যাবেন:
ভূটিয়ার পদ্মা বিল দেখতে প্রথমে খুলনা শহরে আসতে হবে। খুলনা শহর থেকে জেলখানা ঘাটপাড় হয়ে মোটরবাইক,বাস বা মাহিন্দ্রে তেরখাদা বাজার আসতে হয়। তেরখাদা বাজার খুলনা থেকে প্রায় ১৮কিলোমিটার দূরে। তেরখাদা বাজারে গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে পদ্ম বিলের সন্ধান দিয়ে দেবে। পদ্ম বিলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ছোট ডিঙি নৌকা পাওয়া যায়। নৌকায় চড়তে হলে দর দাম করে নিতে হবে।
- মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
- উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- আ. লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে
- গাজাইস্যুতে পশ্চিমারা নিছকভণ্ডামি করছে:মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
- প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত
- শ্যামলকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
- অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধে কাজ শুরু
- উপজেলা নির্বাচন
১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ - আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ, কখন পাবেন সাতক্ষীরার কোন আম
- সাতক্ষীরায় সাবেক পুলিশ কনস্টেবলকে কুপিয়ে হত্যা
- তৃতীয় দিনেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
- আগুনে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: বন সংরক্ষক
- ছয় বিভাগে হতে পারে কালবৈশাখী, তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি
- ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে খুলনায় ছাত্রলীগের মিছিল
- খুলনায় স্মার্টবাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমেরভূমিকা শীর্ষককর্মশালা
- আল্লাহর পরিচয় জানা মানুষের প্রধান দায়িত্ব
- বাগেরহাটে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে দুই যুবক আটক
- গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
- সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌ ও বিমান বাহিনী
- মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী:প্রধানমন্ত্রী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- আকাশে ঘটতে চলেছে বিশাল তারকা বিস্ফোরণ
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- ডুমুরিয়ায় আবারো ট্রাকের ধাক্কায় মাদ্রাসার ছাত্র নিহত
- প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন মেয়র খালেক ও খায়রুজ্জামান লিটন
- পটুয়া সঙ্গীত বা পটের গান সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি?