• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে কপোতাক্ষ নদের গোবরা বেড়িবাধ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

 

 দুভোর্গ যেন পিছু ছাড়ছেনা কয়রাবাসির শীতের শেষে ও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই কয়রার কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে হরিনখোলা বেড়িবাধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুধু হরিনখোলা নয় অব্যাহত ভাঙনের কারণে কয়রা সদর ইউনিয়নের গোবরা, ঘাটাখালী, হরিনখোলা ও গোবরা পূর্বচক গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। ভাঙন রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর তীরবর্তী জনপদের বিস্তির্ণী এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
        সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে ১৩-১৪/২-নং পোল্ডারের গোবরা,ঘাটাখালী ও হরিনখোলার ভেড়িবাঁধ। শীত মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ধ্বসে গেছে নদীর পাড়ের মাটি। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধের গোড়ায় মাটি না থাকায় সংকীর্ণ ও খাড়া হয়ে গেছে ভেড়িবাঁধের রাস্তা। দুর্বল বাঁধ ভেঙে যেকোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের জনপদ। গত বুধবার রাতে হঠাৎ হরিনখোলা বেড়িবাধ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তাৎক্ষনিক এলাকবাসি বাধ রক্ষায় কাজ করলেও ভাঙ্গন আতংকে রাত কাটাচ্ছে এলাকবাসি। বাধ রক্ষায় জরুরূ ভিত্তিতে কাজ করার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী জন সাধারন। ঘাটাখালী ও হরিনখোলা গ্রামের হানিফ, খাদিজা বেগম, আত্তাফ শেখ, হাফিজুর রহমান, মুদি দোকানি তৈয়েব আলী সহ অনেকেই বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে ভেড়ি বাঁধের গোড়ার মাটিতে ধ্বস নেয়া বেড়েই চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।  স্থানীয়  ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আঃ গফ্ফার ঢালী বলেন, এবার শীত মৌসুমেই শেষ হতে না হতেই হঠাৎ করে হরিনখোলার ভেড়িবাঁধের গোড়ার মাটি ধ্বসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
           পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আলম বলেন,কয়রা এলাকার ওয়াপদা ভেড়িবাঁধের স্পর্শকাতর স্থান গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি উল্লেখ পূর্বক প্রতিবেদন তৈরি করে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। কয়রা সদর ইউনয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা নাজমুছ ছাদাত বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া না নেয়া হলে কয়রা সদরের দরিদ্র মানুষ বসতবাড়ীসহ ফসলী জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে। ইতিপূর্বে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন শুরু হলেই ভাঙন রোধের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের তোড়জোড় শুরু হয়। যা শুধুই অপচয় মাত্র। স্থানীয়দের দাবি, নদীভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা