• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনা-মংলা মহাসড়ক ছয় লেন প্রকল্পে ডিপিপির কাজ শেষ হয়নি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

মংলা বন্দরের ব্যবহার বৃদ্ধি, সমুদ্র কেন্দ্রিক ব্লু-ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা এবং মোংলা বন্দর ব্যবহারে ভারতের আগ্রহ প্রকাশের পর খুলনা-মংলা মহাসড়কটির সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এ লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরইে নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও তার দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, ইতোমধ্যে এ মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, মংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের পরিমাণ বাড়ছে। হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরুদ্দিন জানান, আগস্ট মাসে ৭০টি, সেপ্টেম্বর মাসে ৮৪টি জাহাজ বন্দরে আসে। অক্টোবর মাসে ৯০টি জাহাজ ভিড়েছে বন্দরে। সে হারে পণ্য খালাসের পরিমাণও বেড়েছে।
খুলনা সড়ক ও জনপথের সূত্রটি জানিয়েছে, খুলনা-মংলা মহাসড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় এটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রচেষ্টা চলছে। সে লক্ষ্যে প্রাক-সম্ভ্যাবতা যাচাই শেষ হয়েছে। গত বছর কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ডেভেলপমেন্ট প্রোপজাল প্রজেক্ট (ডিপিপি) প্রণয়নের কাজ চলছে। মোট ৩৭ কিলোমিটার মহাসড়কটিতে ৪ লেন হবে বড় গাড়ি চলাচলের জন্য। বাকি দ’ুটি লেন হবে স্লো মুভিং ভেহিকেল ট্রাফিকের (ছোট যান) চলাচলের জন্য। এর সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। আগামী মাসের মধ্যে ডিপিপি’র কাজ শেষ হলে সেটি প্রি-একনেকে উত্থাপন করা হবে।
সড়ক ও জনপথ খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জর্জিস হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক ব্লু-ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা, পদ্মা সেতু চালুর পর এ অঞ্চলে ভারি যান চলাচল বেড়ে যাওয়া এবং মংলা বন্দর ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ লেন করার প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ডিপিপি তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। আগামী জানুয়ারিতে এটি প্রি-একনেকে ওঠার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরে জাহাজ বৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও পণ্য পরিবহনে মহাসড়কের সক্ষমতা খুবই কম। এ সড়কের প্রশস্ততা কম হওয়ায় অনেক সময় যানজট লেগেই থাকে। ফলে সড়কটির সম্প্রসারণ জরুরী হয়ে দেখা দিয়েছে।
খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজ’এর সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, মংলা বন্দরের যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে ৭০ শতাংশই অব্যবহৃতই থাকে। ভারত ও নেপাল বন্দর ব্যবহারের সুবিধা নিতে চাইলে সবদিক থেকে দেশেরই লাভ হবে। তবে তার আগে সড়কের অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরী। সে লক্ষ্যে খুলনা মংলা মহাসড়কের সম্প্রসারণ জরুরী হয়ে পড়বে। বর্তমানে বন্দরে জাহাজ নোঙ্গরের পরিমাণ যে হারে বাড়ছে তাতেও এ মহাসড়কটির সম্প্রসারণ প্রয়োজন।
খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, বন্দর থেকে পণ্য আনা-নেয়ায় আমাদের সড়কগুলোর লোড ক্যাপাসিটি বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষ করে খুলনা-মংলা মহাসড়কটির প্রশস্ততা কম। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এ মহাসড়কে যানজট বাড়বে। এটি বৃদ্ধি করা না হলে ভবিষ্যতে যান চলাচলে সংকট বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা