• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ইইউতে জিএসপি সুবিধা নিয়ে সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধার মেয়াদ ২০২৯ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০৩২ সাল পর্যন্ত করার জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে উচ্চ-পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে সমর্থন কামনা করেন। খবর বাসসের।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য আইরিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রম ইস্যু প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। ইইউভুক্ত দেশগুলো শ্রম ইস্যু নিয়ে সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না।

এ সময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সাইমন কভেনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট খোলার জন্য তিনি এসেছেন। এই কার্যালয় দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায় আয়ারল্যান্ড। জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা তারা অব্যাহত রাখবেন।

সাইমন কভেনি আরও বলেন, বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশি পড়াশোনা করছে। তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তবে তিনি রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তা জোরদার, তাদের উপার্জনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করা ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত ঘরের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ কখনও কখনও দেখা যায়, কারণ সেখানে অনেক অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রয়েছে– যারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণের নজির নেই, তবে ভাষানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সেখানে যেতে চাইলে প্রায় ৪ লাখ মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে ভাষানচরে আবাসন প্রকল্পটি সফল হচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা