হাঁসের ডিম বিক্রি করে মাসে আয় লক্ষাধিক টাকা
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২০
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের গাছপাড়া কামারনওগাঁ বিল। এ বিলের পানিকে পুঁজি করে কামারনওগাঁ গ্রামের আমিনুর রহমান গড়ে তুলেছেন একটি ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামার। বছর খানেক আগে ৩৫ হাজার টাকায় এক হাজার জিনডিং ও খাকী ক্যাম্পবেল প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা কিনে খামার তৈরি করেন আমিনুর। খামারের বাচ্চাগুলো প্রথম তিন-চার মাস পালনের পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ ডিম হচ্ছে এ খামারে।
প্রতি শতক ডিম ১১শ টাকা (৪৪ টাকা প্রতি হালি) দরে খামার থেকেই কিনে নিচ্ছে পাইকাররা। এতে প্রতিদিন সাড়ে তিনশ’ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮শ টাকায়। ওই ডিম বিক্রি থেকে তার প্রতি মাসে উপার্জন এখন এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। ৫ মাস যাবৎ ধারাবাহিকভাবে সাড়ে তিনশ’ ডিম তুলছেন আমিনুর। কখনও কখনও খামার থেকে মাসে ৪’শ ডিমও পাচ্ছেন তিনি। তিনি এখন স্বাবলম্বী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে গাছপাড়া কামারনওগাঁ বিলের পানি শুকিয়ে পুরোটাই এখন আবাদি জমিতে রূপ নিয়েছে। ক’দিন পর এসব জমিতে আবাদ হবে বোরো ধান। তবুও এ বিলের পাশেই ভ্রাম্যমাণ খামার তৈরি করে আমিনুর করছেন হাঁস চাষ। তবে বর্ষা মৌসুমে জমিগুলো জলাশয়ে পরিণত হয়।
যদিও বর্ষা মৌসুমে জলাশয়ে পরিণত হয় এ বিল। তবে এ শীতে বিলের বেশিরভাগ অংশের পানি শুকিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে একটু একটু পানি রয়েছে। পাশের এক খণ্ড উঁচু জমির উপর একচালা একটি ঝুঁপড়ি থেকে আমিনুরের কয়েকবার আয়-আয় ডাক শুনে প্যাক-প্যাক আওয়াজ তুলে এক-এক করে চলে আসে দূরে ছড়িয়ে থাকা হাজার খানেক হাঁস। খাবারের সময় মূলত হাঁসগুলোকে কাছে ডাকেন আমিনুর। হাঁস পাহারা দেয়ার জন্য ঝুঁপড়ির এক কোণে শোবার জায়গাও বানিয়েছেন তিনি। ইচ্ছে, চেষ্টা আর অক্লান্ত পরিশ্রমে বিদেশ ফেরত আমিনুর এখন মাসে লাখ টাকা উপার্জন করছে হাঁসের খামার থেকে। ভ্রাম্যমাণ খামারটি একদিকে যেমন বদলে দিয়েছে আমিনুরের ভাগ্য, অন্যদিকে এলাকাবাসী পেয়েছে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রেরণা।
হাঁসের খামার নির্মাণের আগ্রহ সম্পর্কে আমিনুর জানান, ১০/১২ বছর আগে গমের ব্যবসা করতেন তিনি। প্রতিদিনের লাভের টাকা থেকে একটি করে হাঁস কিনতেন। এভাবে হয় তার ১৬৫টি হাঁস। হাঁস পালনের লাভ তখন থেকেই বুঝতেন। দীর্ঘদিন হাঁস পালনের টাকায় সংসার চালিয়ে বিদেশে যাওয়ার খরচও জোগাড় করেছিলেন তিনি। উপার্জন বাড়াতে সৌদি আরব যান। সৌদি থেকে ফিরে আবার যান সিঙ্গাপুর। প্রবাসের চেয়ে হাঁস পালনেই বেশি উপার্জন হবে ভেবে দেশে ফিরে আসেন তিনি। দেশে ফিরে প্রথমে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। এর ক’দিন পরই প্রায় বছর খানেক আগে ৩৫ হাজার টাকায় এক হাজার জিনডিং ও খাকী ক্যাম্পবেল প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা কিনে তৈরি করেন ভ্রাম্যমাণ খামার। হাঁস রাখার জন্য তৈরি করেন ঘর। এ ঘর তৈরিতেও তেমন খরচ হয়নি। ভ্রাম্যমাণ খামার হওয়ায় সবসময় হাঁসগুলো থাকে জলাশয়ে। এর ফলে হাঁসের খাবার খরচ কম হয়।
এ কারণে প্রথমে কামারনওগাঁ সিকদারবাড়ি এলাকায় শশুর বাড়ি, এরপর নিজের বাড়ি অতঃপর কামারনওগাঁর বিলে আনা হয়েছে খামারের হাঁসগুলো। পানি থাকাবস্থায় হাঁসগুলো ওই বিলে থাকে। পানি শুকিয়ে গেলে হাঁসগুলোকে নেয়া হয় অন্যত্র। এ কারণে জলাশয় যেখানে আছে সেখানেই ভ্রাম্যমাণ এ খামারটিকে সরাতে হচ্ছে। এবার পার্শ্ববর্তী এলাসিন ইউনিয়নের সিংহরাগী এলাকায় ধলেম্বরী সংলগ্নে হাঁসগুলো সরানোর কথা ভাবছেন তিনি।
জলাশয়ের অভাবে গত ৯ মাসে তিনবার জায়গা বদল করতে হয়েছে তাকে।
তিনি জানান, গত ৪/৫ মাসে খামারের ডিম বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ টাকা। খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। এখনও হাঁসগুলো নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। এছাড়া এক হাজার হাঁসের দাম ৪শ টাকা দরে হলে বিক্রি হবে প্রায় ৪ লাখ টাকা। যার সবটুকুই থাকবে তার লভ্যাংশ। এ হিসেবে মাসে লাখের ওপর উপার্জন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আমিনুর রহমান আরও জানান, জলাশয়ে ঠিকমতো পানি থাকলে খাবার খরচ কমে যেত। এতে ডিমের দাম আরও কম হত। তবে পানি কমে যাওয়ায় অনেকটা সময় হাঁসগুলো বাড়িতে পালন করতে হয়। এরপরও তার ইচ্ছে চলতি বছরে ৩ হাজার বাচ্চা তার খামারে তুলবেন। বিদেশের চেয়েও এখন তার উপার্জন বেশি হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী অনেকে প্রেরণা পেয়ে খামার করার কথা ভাবছেন।
বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে আমিনুর বলেন, হতাশার কিছু নেই। সঠিকভাবে শ্রম দিলে হাঁস পালনে বিদেশি টাকার চেয়েও বেশি উপার্জন করা সম্ভব। অনেকেই এখন তাকে দেখে হাঁস পালনের পরামর্শ নিতে আসছেন। তার দাবি প্রাণী সম্পদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত এসব খামার পরিদর্শন, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ, নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিলে খামারিরা উপকৃত হতো। হাঁস পালন একটি লাভজনক প্রকল্প। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ খাতকে একটি সম্ভাবনাময় খাতে রূপ দেয়া সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
হাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় প্রথম ধাপে ১৭ দিন দ্বিতীয় ধাপে ২১ দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। খামারের প্রাথমিক চিকিৎসা এখন নিজেই দিতে পারেন তিনি। ডিম দেয়ার সময় হাঁসের রোগ কম হয়। তবে এসময় ক্যালসিয়াম কমে যায় বলে জানান তিনি। ডিম দেয়া শুরু করলে হাঁসকে পিএল দিয়ে দেয়। ফলে চিকিৎসা খরচ অনেকটাই কমে এসেছে।
এছাড়াও তার খামারে গম ভাঙা, কুঁড়া আর ধান একত্র করে হাঁসের খাবার তৈরি করেন তিনি। বাজার থেকে কেনা কোনো খাবার (ফিড) তাদের খামারে দেয়া হয় না।
এ প্রসঙ্গে দেলদুয়ার উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলী জানান, আমিনুরের হাঁসের খামারটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। তবে হাঁসগুলোকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়ম মাফিক ভ্যাকসিন এবং ডাক কলেরার টিকা সিডিউল অনুযায়ী দিতে হবে। সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ভ্যাকসিনসহ, চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে।
- মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
- উপজেলা নির্বাচন: সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- আ. লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে
- গাজাইস্যুতে পশ্চিমারা নিছকভণ্ডামি করছে:মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
- প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত
- শ্যামলকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
- অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধে কাজ শুরু
- উপজেলা নির্বাচন
১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ - আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ, কখন পাবেন সাতক্ষীরার কোন আম
- সাতক্ষীরায় সাবেক পুলিশ কনস্টেবলকে কুপিয়ে হত্যা
- তৃতীয় দিনেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন
- আগুনে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: বন সংরক্ষক
- ছয় বিভাগে হতে পারে কালবৈশাখী, তাপমাত্রা কমতে পারে ৩ ডিগ্রি
- ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে খুলনায় ছাত্রলীগের মিছিল
- খুলনায় স্মার্টবাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমেরভূমিকা শীর্ষককর্মশালা
- আল্লাহর পরিচয় জানা মানুষের প্রধান দায়িত্ব
- বাগেরহাটে জাল টাকা ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগে দুই যুবক আটক
- গাজায় বাড়ছে সংক্রামক ব্যাধি, উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা
- সুন্দরবনের আগুন নেভাতে নৌ ও বিমান বাহিনী
- মানুষের হারানো আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে সেনাবাহিনী:প্রধানমন্ত্রী
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- আকাশে ঘটতে চলেছে বিশাল তারকা বিস্ফোরণ
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন
- আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি
- ডুমুরিয়ায় আবারো ট্রাকের ধাক্কায় মাদ্রাসার ছাত্র নিহত
- প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন মেয়র খালেক ও খায়রুজ্জামান লিটন
- পটুয়া সঙ্গীত বা পটের গান সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি?