• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বন্দর নগরীতে হচ্ছে হাই-টেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৯  

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে স্থাপন হচ্ছে বিশ্বমানের হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং ইনকিউবেশন সেন্টার। এসব স্থাপনা নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩০ কোটি টাকা।

হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এসব স্থাপনা নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রায় আড়াই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিএফআইডিসি রোড সংলগ্ন চাঁদগাঁও ও চর রাঙ্গামাটিয়া মৌজায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হবে হাই-টেক পার্ক এবং আগ্রাবাদে ব্যাংকক-সিংগাপুর মার্কেটের ৬-১১ তলায় হবে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এসব স্থাপনা নির্মাণে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার মাধ্যমে চলমান দুটি প্রকল্পের আওতায় একটি হাই-টেক পার্ক এবং একটি আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। নির্মাণের পর প্রথম ৩০ বছর এই পার্ক দুটি থেকে ৫০%-৫০% রাজস্ব সিটি করপোরেশন ও হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ভাগাভাগি করে নেবে। পরবর্তী সময়ে এই চুক্তি নবায়ন হতে পারে।

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে একদিকে যেমন দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে, তেমনি হাই-টেক পার্কে হবে তাদের কর্মসংস্থান। এ ছাড়া হাই-টেক পার্কে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি তৈরি হবে দেশীয় উদ্যোক্তা।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক (এবং অন্যান্য হাই-টেক পার্ক)-এর উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট ভবনের ৬-১১ তলা পর্যন্ত সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় ২৪.৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হবে।

সম্প্রতি এসব স্থাপনার ভিত্তিস্থাপন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘চট্টগ্রাম সবসময় বাণিজ্য নগরী হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। মিরসরাইতে যে ইকোনমিক জোন হচ্ছে তা সেই ক্ষেত্রে চট্টগ্রামকে আরও এগিয়ে রাখবে। আগামী পাঁচ বছরে সব কারখানায় ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। এসব শিল্প কারখানা যদি ডিজিটালাইজড না হয় তবে কোনো লাভ নেই। কারণ আগামী দিনের বিশ্ব শিল্পায়ন হাঁটছে ডিজিটাল পথে।’

কারখানায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি ডিজিটাল শিল্প কারখানায় বিনিয়োগে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা শিল্প বিপ্লব মিস করেছি। পৃথিবীতে ইতোমধ্যেই তিনটি শিল্প বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে। যার কোনোটিতেই আমাদের কোনো অবদান নেই। চট্টগ্রামে অনেক ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা রয়েছেন, আমি তাদের বলব এখনই ডিজিটাল শিল্প কারখানায় বিনিয়োগ করুন। প্রচলিত শিল্প ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রযুক্তির নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ১০ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। ১০ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৫৬ লাখ, এখন ১০ কোটি। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে ৯ হাজার। আরও হবে ২৫ হাজার ৫০০টি।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা