• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ফিরে দেখা সরকারের সফলতা : জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯  

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। রুপকল্প ২০২১ এবং একশ’ বছরের ডেল্টা প্লানকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পরিবেশনা ‘উন্নয়নের ১১ বছর’।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দায়মুক্তি আইন বা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী আ ফ ম মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মামলা করেন। মোট চার ধাপে চলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার কাজ। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল বঙ্গবন্ধুর হত্যার মামলার রায়ে ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। নিম্ন আদালতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল শুনানিতে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বিভক্ত রায় দেয়। বিচারপতি এম রুহুল আমিন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ১৫ আসামির মধ্যে পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়ে ১০ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। আর বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ আসামির সবার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। এরপর ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ তৃতীয়বারের মত রায় দিয়ে ১৫ জনের মধ্যে তিন জনকে খালাস দিয়ে ১২ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জোট ক্ষমতায় এলে মুজিব হত্যার বিচার কাজ আবার আড়ালে চলে যায়।

ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে তিন বিচারপতির  বেঞ্চ মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পাঁচ আসামির আপিল শুনানি গ্রহণ করতে শুরু করেন। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারকার্যে গতি আনয়ন করে। এর প্রায় দুই বছর পর ২০০৯ সালে ১৯ নভেম্বর ১২ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে চতুর্থবারের মত চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের মাধ্যমে ১৩ বছর ধরে চলা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আইনি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির ফাঁসির কার্যকর করা হয়। তারা হচ্ছে লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার) এখনও  ৬জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। পলাতকরা হচ্ছে লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল মাজেদ। এক আসামী আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে ২০০২ সালে মারা যায়।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা