• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সগিরা মোর্শেদ হত্যার তদন্তে আরও ৬০ দিন সময়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

১৯৮৯ সালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তে আরও ৬০ দিন সময় পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২০ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে ১৯৯১ সালে এ মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে ২৬ জুন রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তদন্ত শেষে ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকার্যও সম্পন্ন করতে বলেন হাইকোর্ট।

পরে পিবিআইয়ের তদন্তে দেখা যায়, ছিনতাইয়ের কারণে নয়, পারিবারিক দ্বন্দ্বে খুন হওয়ার কথা স্বীকার করেন আসামিরা। ১৩ নভেম্বর নিহত মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান এবং তার স্ত্রী শাহীন চৌধুরী হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় জবানবন্দি দেন।

এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে জানা যায়, ডা. হাসান এর আগে বিদেশে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দেশে আসেন। দেশে আসার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম তাদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যান সগিরা মোর্শেদ সালাম। বিকেল ৫টায় সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় নিজেকে বাঁচাতে দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় ওইদিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় সাতজন সাক্ষীর। সাক্ষ্যে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা (১০৪২/১৯৯১) করেন মারুফ রেজা; যিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়।

১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচার কাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে মর্মে আরেকটি আদেশ দেওয়া হয়।

সম্প্রতি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এটি রাষ্ট্রপক্ষকে অবহিত করে। এরপর ওই আবেদন শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুনানি শেষে ২৬ জুনের আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা