• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে দেশ আক্রান্ত হবে জঙ্গিবাদে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯  

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান গণহত্যা চালাতে গিয়ে ইসলামকে যেভাবে ব্যবহার করেছে, ঠিক তেমনি বৌদ্ধধর্মকে ব্যবহার করেছে মিয়ানমার। তাদের কাছে ধর্ম এখন দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মৌলবাদের মতো বিষয়। আর এজন্যই রোহিঙ্গাদের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে এবং তা সমাধান না করলে বাংলাদেশেও এর গুরুতর প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী শাহরিয়ার কবির।

আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ‘১৯৭১-এর গণহত্যা, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের এক অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধিবেশনে শাহরিয়ার কবির বলেন, মিয়ানমারের বৌদ্ধদের কাছে তাদের ধর্ম অত্যন্ত মানবতার। কিন্তু অধিকাংশ বৌদ্ধ মন্দির এখন জিহাদি মন্দিরে পরিণত হয়েছে। ফলে আমরা মিয়ানমারের গণহত্যার স্বরূপ দেখতে পাই।

শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ ভারতে রিফিউজি হিসেবে আশ্রয় নিলেও যুদ্ধ শেষে তারা পুনরায় দেশে ফিরে এসেছে এবং সরকার তাদের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা এখন আমাদের জন্য একটি বোঝার মতো হয়ে উঠেছে। তাদের জন্য আমাদের একার পক্ষে জায়গা দেওয়া সম্ভব না। এটি অনেকটা ‘থার্ড কান্ট্রি পজিশন’ এর মতো হয়ে উঠেছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে হলেও আমাদের তাদের পাঠানো উচিত।

অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক হিরণ্ময় কার্লেকার, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালযের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি বিষয়ের অধ্যাপক ড. জয়তি শ্রীবাস্তব, তুরস্কের লেখক ও চিত্রনির্মাতা ফেরহাত আতিক এবং মিয়ানমারের চিকিৎসক ও গবেষক ড. খিন জ উইন।

বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধান করতে হবে। না হয় বাংলাদেশ ও আশপাশের দেশগুলো আক্রান্ত হবে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ দ্বারা। এছাড়া দেশে একাত্তরের মৌলবাদ যে এখনও বিদ্যমান, তা বোঝা যায় সম্প্রতি হলি আর্টিজনের হামলার মধ্য দিয়ে। একাত্তরের গণতহ্যা, হলি আর্টিজন এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার সবগুলোই যেন একই সূত্রে গাঁথা।

বাংলা একাডেমিতে দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সাত দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। ভারত, ইতালি, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, যুক্তরাজ্য থেকে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক এতে যোগ দিয়েছেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা