• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

রূপসায় সংগ্রাম হত্যা মামলায় আরো ৪ আসামীর স্বীকারোক্তি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

রূপসার চাঞ্চল্যকর সারজিল ইসলাম সংগ্রাম হত্যা মামলায় আরো ৪ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এরা হলেন অমিত শেখ (২০), সাজু হাওলাদার (৩৩), সোহেল হাওলাদার (২২) ও রন জয়ধর (২৬)। এর আগে হত্যা মিশনে অংশগ্রহনকারী আসামি সুমন মোল্যা, রাহাত শিকদার ও আলমগীর মোল্যা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

পুলিশ জানায়, জেলা ডিবি, খুলনার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সেখ কনি মিয়া এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই/মুক্ত রায় চৌধুরী, পিপিএম এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টীম পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুসারে প্রযুক্তি নির্ভর তদন্তের মাধ্যমে ঢাকা, চট্রগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে। চাঞ্চল্যকর সারজিল ইসলাম সংগ্রাম হত্যার ঘটনার ১৩ অক্টোবর রাতে হত্যা মিশনে অংশগ্রহনকারী এজাহারনামীয় আসামি অমিত শেখকে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে উক্ত আসামির প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবং প্রযুক্তি নির্ভর তদন্তের মাধ্যমে একই দিন সকালে চট্রগ্রাম মহানগরীর ইপিজেট থানাধীন কলসি দিঘির পাড় বাজার এলাকা এজাহারনামীয় আসামি সাজু হাওলাদারকে (৩৩) এবং রাতে চট্রগ্রাম জেলার মিরেরসরাই থানা এলাকায় বড় দারোগার হাট এলাকা থেকে সোহেল হাওলাদার (২২) ও রন জয়ধরকে (২৬) কৌশলে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামিরা সারজিল ইসলাম সংগ্রাম হত্যার কারনসহ এই নৃশংস হত্যাকান্ডের নেপত্থে থাকা গডফাদারসহ মূল পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা ও হত্যা মিশনে অংশগ্রহনকারী সদস্যদের নাম প্রকাশ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে।

আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলা সংগঠনের পরপরই খুলনা জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, বিপিএম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনায় ন্যস্থ করেন। পুলিশ সুপার খুলনার নির্দেশনা অনুসারে জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই/মুক্ত রায় চৌধুরী,পিপিএম সহ ডিবি পুলিশের এই চৌকস টীম ঘটনার পরপরই আসামিদের গ্রেফতারের উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহনকারী ০৭ জন আসামিসহ ঘটনার সাথে জড়িত সর্বমোট ০৯ জন আসামিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করেন।

হত্যা মিশনে অংশগ্রহনকারী আসামিদের ব্যবহৃত ০৩ টি চাপাতি, ০৩ টি ছোরা ও ভিকটিমের ০১টি মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার হয়। আলোচিত এই চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বাদী ভিকটিম সারজিল ইসলাম সংগ্রাম এর মাসহ তার পরিবারের লোকজন একমাত্র পুত্র সন্তান হত্যার ঘটনায় ডিবি পুলিশের আন্তরিক তৎপরতায় আসামি গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং তারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় মামলাটি তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করাসহ দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারের দাবী জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা অনুমান ১টা ৫০ মিনিটে সারজিল ইসলাম সংগ্রামকে রূপসা থানাধীন বাগমারা সাকিনের হিমায়ন বরফকলের সন্নিকটে আলামিন মল্লিক এর চায়ের দোকানের সামনে একটি মোবাইল চুরি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের মা মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন মিলি মোঃ রাহাত সিকদার (২৭), সোহেল হাওলাদার ওরফে গেদন সোহেল (২৫), ইব্রাহিম শেখ (২৫), অমিত শেখ (২৫), সাজু ওরফে সাধু (২৬), সিরাজ (২৬) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২১, তারিখ-২৬/০৯/২০১৯, খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয় । চাঞ্চল্যকার এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার সহ মামলাটি দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা