রুম্পাকে কেন মরতে হলো?
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
রুম্পা নামের অর্থ চমৎকার, সুন্দর, প্রশংসনীয়। স্ট্যামফোর্ড বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী রুম্পার মধ্যে এর সব গুণই ছিল। পুলিশ পিতার স্বল্প আয়ের সংসারের বোঝা কমাতে রুম্পা নামের মেয়েটি দুটি টিউশনি করতো। লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের হালও ধরেছিল সে। এভাবেই চলছিল নিত্যনৈমিত্তিক জীবন। কিন্তু বিধিবাম হলেন। সুন্দর একটি ফুল পূর্ণ বিকশিত হওয়ার আগেই ঝরে গেল। ঘাতকের নিষ্ঠুর জিঘাংসায় নিভে গেল তার জীবন প্রদীপ।
নিত্যকার মতো টিউশনি করে বাসায় ফিরেছিল সেদিনও। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে নতুন স্যান্ডেল বদলে পুরনো স্যান্ডেল পরে, দুল খুলে রেখে আবার বাইরে চলে গেল। নিশ্চয়ই ফোনে কারো সাথে কথা হয়েছিল কিংবা জরুরিভিত্তিতে তাকে কেউ ডেকেছিল। তা না হলে সে হয়তো বের হতো না সন্ধ্যায়। নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বের হয়েছিল রুম্পা। কী ছিল সেই উদ্দেশ্য? তাকে ডেকে অথবা ফোন করে কেউ ব্ল্যাকমেল করেনি তো?
কোনো ইস্যুতে যেন রুম্পা হত্যা ধামাচাপা না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। আর যেন কোন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানুষকে রাস্তায় নামতে না হয়, বিচার চেয়ে চেয়ে মুখে ফেনা তুলতে না হয়। দ্রুত আইনের আওতায় এনে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে আর কোন রুম্পাকে এভাবে লাশ হতে হবে না
তার ফোনকল থেকেও অনেক তথ্য উঠে আসতে পারে। হয়তো খুনের আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনও হতে পারে তাকে ভালোভাবে ডেকে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণ করে পরে তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘুমের মধ্যেও ধর্ষণ হয় এমন নজির আছে এদেশে। এমনকি মৃতদেহও ধর্ষণ হয়। ৩-৫ বছরের নারীশিশুও ধর্ষণ হয় এমনও ঘটনা আছে। আর এসব অপকর্ম ঢাকতে ভিকটিমকে মেরে ফেলা হয়। স্বামী দ্বারা বহু আগে থেকেই স্ত্রী ধর্ষণ হয়। এসব সত্যকথা শুনলে একশ্রেণির মানুষের গা জ্বালা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু কথা সত্য। যুগেযুগে এত নারী হত্যা কেন? কেন এত নারী শিশুহত্যা?
গত একবছরের হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে নারীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, এসিডে ঝলসে মারা হয়েছে।ধর্ষণ শেষে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। নারীর মৃতদেহ জঙ্গলে, নদীর ধারে ফেলে রাখা হয়েছে। নারী শিশুকে ধর্ষণ করে কেটে টুকরো টুকরো করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সবশেষে রুম্পাকে ধর্ষণ এবং ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে গত বুধবার রাত এগারোটার দিকে। কে বা কারা এভাবে নৃশংস হত্যা করল? কেন করলো?
একজন নারী খুন হলে আমাদের সমাজের কিছু মানুষ সেই নারীর দোষগুলো খুঁজতে থাকেন। মুখ বাঁকিয়ে বলতে থাকেন অমুক মেয়ের চলাফেরা ভালো ছিল না, পোশাক ভালো ছিল না। চলাফেরা ভালো না বলতে তারা কী বুঝায়? একজন নারী যার সাথে খারাপভাবে চলে সে কী পুরুষ ছিল না? তবে কেন পুরুষটিকে আড়ালে রেখে শুধু নারীর চলাফেরা নিয়ে কথা তোলা হয়?
মেয়েটির সঙ্গী পুরুষ বলে সে সমাজের চোখে নির্দোষ এবং ভালো থেকে যায়। বদনাম জোটে কেবল মেয়েটির কপালে। প্রেমের সম্পর্কে শিথিলতা আসতেই পারে, তাই বলে কী তাকে হত্যা করতে হবে? কিংবা কোন কারণে কোন বিষয়ে মতবিরোধ হতেই পারে, বনিবনা নাও হতে পারে তাই বলে কী তাকে হত্যা করতে হবে? মানুষ হয়ে এ কেমন মানসিকতা, যে ভালো না লাগলে বা মতের অমিল হলেই তাকে মেরে ফেলতে হবে, হত্যা করতে হবে?
‘হায়দ্রাবাদে চারজন ধর্ষককে পুলিশের এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে’ বাহ! দারুণ খবর বটে! তবে এভাবে কতজন ধর্ষককে মেরে ফেলা যাবে? ধর্ষক সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ওৎ পেতে আছে। বাঙালির উদরপূর্তির মতো নারীও তাদের কাছে সস্তা খাবারের মতো। পথের নেশাখোর টোকাই থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত যে কেউ এ খাবার খেতে অভ্যস্ত।
ধর্ষণ ও নেতিবাচক মনোভাব থেকে মুক্তি পেতে মানুষের উচিত নিজ মনের চর্চা করা। নিজের মনকে পরিচ্ছন্ন ও পরিশুদ্ধ রাখা। বিবেককে জাগ্রত রাখা। সেটি যদি হয় নিজ নিজ ধর্মকে মনেপ্রাণে বুঝে লালন করার মাধ্যমে তাহলেও খুব ভালো। কিন্তু কিছু মানুষ ধর্ম না বুঝে ধর্ম চর্চা না করে বানোয়াট ফতোয়া জারি করে এবং তার বক্তব্য সম্পূর্ণ একপেশে। ধর্মের দোহাই দিয়ে তারা নারীদের বিপক্ষে কথা বলে। এ সকল মানুষই যুগে যুগে ধর্মকে বিকৃত করছে। এরা যেকোনো ধর্মের জন্যই হুমকিস্বরুপ। যে যেভাবে যে পরিস্থিতিতেই খুন করুক, কিংবা হত্যাকে হালকা করার চেষ্টা করুক, হত্যা হত্যাই। আর খুনি যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। কারণ আইন ও বিচারবহির্ভূত খুন করার অধিকার মানুষের নেই।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রুম্পার ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার কথিত প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে এখনো হত্যারহস্যের কূলকিনারা হয়নি। আশা করি খুব দ্রুত রুম্পা হত্যার আসল অপরাধী সনাক্ত হবে এবং বিচার হবে। তবে ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে এখনই ধর্ষণবিরোধী কঠিন আইন প্রণয়ন করতে হবে সরকারকে। বর্তমানে যে নারী ও শিশু নিরাপত্তা আইন আছে তা দিয়ে ধর্ষণের মতো ক্রিমিনাল অফেন্স থামানো সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের কাছে নাগরিক চায় নিরাপত্তা। অপরাধীর ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে- সেটিও প্রত্যাশা করে মানুষজন।
কোনো ইস্যুতে যেন রুম্পা হত্যা ধামাচাপা না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। আর যেন কোন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানুষকে রাস্তায় নামতে না হয়, বিচার চেয়ে চেয়ে মুখে ফেনা তুলতে না হয়। দ্রুত আইনের আওতায় এনে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে আর কোন রুম্পাকে এভাবে লাশ হতে হবে না।
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
- প্রতীক্ষিত সুখবর দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর
- গণতন্ত্রে না ফিরলে বিলুপ্ত হবে বিএনপি: কাদের
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- প্রতিবেশী থাইল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: শেখ হাসিনা
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহী নিহত
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা: খুবি উপকেন্দ্রে ৮৮৮৬ পরীক্ষার্থী
- খুলনা যুবলীগ সভাপতির ছাতা পেয়ে নৌকার মাঝিরা খুশি
- খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ
- ১৪৩তম খুলনা দিবস পালিত
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- আমার শরীর সুন্দর, তাই তারা পিছু ছাড়ে না : নোরা ফাতেহি
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- নিজেকে এখন প্রাণভরে দেখি : পরীমণি
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?