• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বিমানবন্দর ব্যবহারে নেপালের আগ্রহকে বাংলাদেশের স্বাগত

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারে নেপালের আগ্রহে সায় দিয়েছে বাংলাদেশ। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশটিকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশ বলছে, সৈয়দপুর বিমানবন্দর কী উপায়ে নেপাল ব্যবহার করতে পারবে সেটি পর্যবেক্ষবণ করবে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট কমিটি।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ ও নেপালের পরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুর মোমেন আর নেপালের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি বৈঠকের নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে নেপাল, তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছি স্বাগতম। তাদের আগ্রহে আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট কমিটি সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি পর্যবেক্ষবণ করবে। কী ধরনের প্লাইট আনাগোনা করা যায় সেটা আমরা দেখব।’

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বৈঠকে কানেকটিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বর্ডারের প্রতিবন্ধকতা সরানোর বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনার পাশাপাশি নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার প্রতিবন্ধকতায় দূরেও আলোচনা হয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে চাই। এটি এখন সীমিত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। কীভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রত্যেক প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর করতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নেপালের সঙ্গে কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশ কী উপায়ে সুবিধা করতে পারে সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’ 

‘নেপালের সঙ্গে আমাদের যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো দূর করা বিশেষ করে, বর্ডার প্রতিবন্ধকতা, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ তাদের ওখান থেকে যে নদীগুলো আমাদের এখানে আসছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

 

আলোচনা খুব ভালো হয়েছে জানিয়ে আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক দূর অগ্রসর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি নিয়ে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের জিএমআর কোম্পানি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে। সেখান থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরেরর মধ্যে চুক্তিটি অনুয়ায়ী এটা সম্পূর্ণ করা যাবে।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা