• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ফিরে দেখা : ১১ বছরে বস্ত্র ও পাটশিল্পে সরকারের সফলতা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯  

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। রুপকল্প ২০২১ এবং একশ’ বছরের ডেল্টা প্লানকে সামনে রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের মহান রুপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তাধারা ও যুগোপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশ থেকে দূর হয়েছে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বেকারত্ব। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ দেশের প্রতিটি সেক্টরে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পরিবেশনা ‘উন্নয়নের ১১ বছর’।
সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা গতিশীল নেতৃত্ব এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডেও যথেষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিগত জোট সরকারের আমল থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিজেএমসি’র ৫টি জুট মিল খালিশপুর জুট মিলস লি. জাতীয় জুট মিলস লি. দৌলতপুর জুট মিলস লিঃ কর্ণফুলি জুট মিলস লিঃ এবং ফোরাত কর্ণফুলি কার্পেট ফ্যাক্টরি চালু করা হয়েছে। এই জুট মিলগুলো পুনরায় চালু করার মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার জনবলের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৩টি বন্ধ মিল (রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলস ও দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস ও সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের মূল ইউনিট) সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে চালু করা হয়েছে।
বর্তমানে সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে ৬টি মিলের ৭টি ইউনিট এবং ভাড়ায় ২টি মিল চালু করা হয়েছে। সুতা ও রং আমদানির ক্ষেত্রে তাঁতীরা শুল্কমুক্ত হার সুবিধা ভোগ করছেন এবং বিটিএমসি হতে সুতা সরবরাহ পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী হস্তান্তরের চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় এবং মিলের উৎপাদন বন্ধ রাখায় এখন পর্যন্ত ১৩টি মিল পুনঃগ্রহণ (টেক ব্যাক) করা হয়েছে। মিলগুলির মধ্যে ৬টি পাটকল এবং ৭টি বস্ত্রকল । বন্ধ থাকা মাগুরা টেক্সটাইল মিলটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর / সংস্থায় নতুন ৬২০টি পদ সৃষ্টি হয়েছে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে ২,৯০৭ টি পদে এবং ১ হাজার ৮২টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  


বর্তমান সরকার শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্ধ মিল চালু করা ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল বদলী শ্রমিকদের স্থায়ী করা শ্রমিকদের মজুরী স্কেল ২০১০ বাস্তবায়ন করার ফলে মিলসমূহে শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৯-১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ‘শেখ হাসিনা  স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল’ প্রকল্পটিতে প্রায় ৩ হাজার জনবলের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং পরোক্ষভাবে আরও হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। ২০০৭ সালের চাকুরীচ্যুত ৩ হাজার ২৬ জন শ্রমিককে পুনঃনিয়োগ ও ৮ হাজার ৬৬৫ জন বদলী শ্রমিককে স্থায়ী করা হয়েছে। দৈনিক ভিত্তিক প্রায় ২১ হাজার ৭০০ জনকে বদলী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁতশিল্পে বয়নে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৬টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ও পাটমিলগুলির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কর্মরত জনবলের দক্ষতাবৃদ্ধি ও মানোন্নয়নের জন্য ৩টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি  খুলনা চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। গাইবান্ধা নওগাঁ চাঁপাইবাবগঞ্জ সিরাজগঞ্জ ফরিদপুর টাংগাইল কিশোরগঞ্জ নোয়াখালী মানিকগঞ্জ কক্সবাজার-এ ১টি করে নতুনভাবে ১০টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া নাটোর ও গফরগাঁও-এ নতুন করে আরও ২টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ৪২টি। বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ হিসেবে টেক্সটাইল ভোকেশনাল প্রায় ২৮ হাজার ৮৬৩ জন ডিপ্লোমা ৯৪ হাজার ৮০১ জন বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ১ হাজার ৪৪১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ৬টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট- এর মধ্যে ৪টি (বরিশাল চট্টগ্রাম নোয়াখালী পাবনা) টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে উন্নীত করা হয়। এছাড়া টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ঝিনাইদহে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চালু করা হয়েছে। 


বর্তমানে বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চালু আছে ৬টি। এছাড়া ৪টি ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট (চট্টগ্রাম নাটোর রংপুর খুলনা) নতুনভাবে চালু হয়েছে। বর্তমানে ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট চালু আছে ৭টি। দেশে বিদ্যমানে ৪২টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট চালু রয়েছে। ইন্সটিটিউটগুলি হতে ২ বছর মেয়াদী এস.এস.সি ভোকেশনাল কোর্স করানো হয়। এছাড়া বর্তমান দেশে ৭টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট চলমান রয়েছে। অন্যান্য ৮টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে। 
‘পাট আইন ২০১৭’ গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে; বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আইন ২০১৩; বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড আইন ২০১৩ প্রণীত হয়েছে। বস্ত্রনীতি-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘বস্ত্র আইন ২০১৮’ বিল আকারে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। পাটনীতির চূড়ান্ত করা হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০; পণ্যে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বিধি ২০১৩; প্রণয়ন করা হয়েছে। 
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা