• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

নৌপথের যাত্রীদের জন্য এবারও থাকছে দুই শতাধিক লঞ্চ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০১৯  

ঈদে  ঘরমুখো মানুষকে সেবা দিতে  প্রতি বছরের মতো এবারও দুই শতাধিক লঞ্চ প্রস্তুত রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদী বন্দর। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া  দুর্যোগ মুহূর্তে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। তবে দুর্যোগ মুহূর্তে লঞ্চ চলাচলে সতর্কতা সংকেট মেনে চলতে  বলা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকা নদী বন্দর সূত্রে জানা গেছে,  ঈদুল আজহা উপলক্ষে  ঢাকা নদী বন্দরে সুষ্ঠু ও নিরাপদ নৌপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রায় তিন ডজনের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরাপদে ঈদযাত্রা সম্পন্ন করতে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত এখন বাস্তবায়ন চলছে। আমাদের সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’

তিনি জানান, প্রতিবছর ঈদের আগের কয়েক দিন প্রায় ২০০ লঞ্চ দিয়ে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করা হয়। এবছরও সেই প্রস্তুতি রয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) থেকে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রায় ১১৬টি লঞ্চ ছেড়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬০টির মতো ছেড়েছে। শনিবার ২০০টির মতো লঞ্চ এ সার্ভিসে যুক্ত হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রীদের চাপ যদি বেশি দেখি প্রয়োজনে আরও লঞ্চ বাড়ানো হবে। সেই প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে। আবহাওয়াগত কোনও সমস্যা দেখা দিলে আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল করবে।

বিআইডব্লিউটিএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি লঞ্চের মাস্টার ও চালকদের ইউনিফর্ম পরতে  হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামাদি ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখতে হবে। মাঝ নদীতে কোনও লঞ্চ রাখা যাবে না এবং নৌকায় করে যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রীর সংখ্যা অনুপাতে অতিরিক্ত বয়া, লাইফ জ্যাকেট বা র‌্যাফটের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর সমন্বয় কমিটি প্রয়োজনে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিসের ব্যবস্থা করবেন। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের জন্য ভিজিল্যান্স টিম কাজ করবে। ছাদে যাত্রী বহন করা যাবে না। ঘাটে প্রতিটি প্রবেশ পথে যাত্রী নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি, বিআইডাব্লিউটিএ, বিএনসিসিসহ স্বেচ্ছাসেবকরা যৌথভাবে কাজ করবে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় লঞ্চ চালানো যাবে না।

আরিফ উদ্দিন আরও জানান, যাত্রী বসার স্থানে কোনোভাবেই মালামাল বহন করা যাবে না। লঞ্চে মোটরসাইকেল বহনসম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্ধারিত পন্টুন থেকে নির্ধারিত লঞ্চ ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাত্রী হয়রানি রোধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, বিআইডাব্লিউটিএ ও জেলা পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ফেরিঘাটগুলোয় ভিআইপি নামে কোনও আলাদা সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ৫ আগস্ট সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘ফেরিঘাটে প্রতিটি পরিবহনই সিরিয়াল মেনে চলাচল করবে।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা