• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

নাঈম হত্যায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারো বেপরোয়া

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

খুলনায় চাঞ্চল্যকর নাঈম শেখ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগানদাতার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলাম জামিনে বেরিয়ে আবারও এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আধিপত্য বিস্তার ও বাদীর পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাঈমের পরিবার।

আজ দুপুর সাড়ে ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও নিহত নাঈমের নিকট আত্মীয় কাজী তরিকুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এলাকায় যেয়ে তার নিজ বাড়ীতে না গিয়ে আগে তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে মিটিং করেন। এরপর তিনি নিহত নাঈম শেখের মা ও হত্যা মামলার বাদী মাফুজা বেগমকে মামলা তুলে নিতে বলেন। এসময় তাদেরকে মামলা তুলে না নিলে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘একটা খুন করেছি। প্রয়োজনে আরও ২/৪টা খুন করতে কোন অসুবিধা নেই। মামলা তুলে না নিলে তোদের ভিটে বাড়িতে ঘুঘু চড়িয়ে দেব। আর এই মামলার সাথে যারা বাদী পক্ষকে সহযোগীতা করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেবো না। এক এক করে সবার কাছ থেকে হিসাব বুঝে নেবো।’ একথা বলে সেখান থেকে চলে যান।

তারা অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর থেকে আমরা নাঈম শেখের পরিবারসহ এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। রাতে নাঈম শেখের পরিবারের লোকেরা বাড়ীতে ঘুমুতে পারছে না। তারা অন্যত্র গিয়ে রাত্রি যাপন করছে।

তারা বলেন, চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলামের জামিন আদেশ স্থগিত হয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে তেরখাদায় আবারো হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নিহত নাঈমের মা মাহফুজা বেগম, নাঈমের স্ত্রী সাদিরা বেগম, নাঈমের কন্যা সন্তানসহ তার তাদের আত্মীয় ও এলাকাবাসীরা।

প্রসঙ্গত, গত ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নাঈম শেখকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুরুতর আহত হন নাঈমের বাবা হিরু শেখ (৫৫)। এ ঘটনায় পরদিন ৮ আগস্ট নিহতের মা মাফুজা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত ২০ আগষ্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের যোগানদাতার অভিযোগে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলাম।  তারপর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান গত ১৮ সেপ্টেম্বর। এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আদালত সেই জামিনের ওপর স্থগিত আদেশ দেন। এই স্থগিত আদেশ খুলনা কারাগারে পৌছানোর আগেই তিনি জামিন আদেশ নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে খুলনা কারাগারে জমা দেন এবং জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এলাকায় যান।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা