• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

দুর্ভোগের অপর নাম নাটোরের ওয়ালিয়া-লালপুর সড়ক

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

সড়কের পিচ-কার্পেটিং উঠে গিয়ে নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া-লালপুর ১৫ কিলোমিটার প্রধান সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় রাস্তাজুড়ে সৃষ্ট অসংখ্য ছোট-বড় গর্তগুলিতে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদায় লুটোপুটি খাচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। চলাচলের বিকল্প কোন পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের, মাঝে মধ্যেই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ছে যানবাহনগুলি।

তবে দীর্ঘদিন থেকে সড়কটির এই বেহল দশা থাকলেও রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের জন্য কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌষের সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক জুুড়ে কাঁদায় মাখামাখি অবস্থা। কাঁদা পানি মাড়িয়েই হেলে-দুলে চলাচল করছে যানবাহনগুলি। ওয়ালিয়া-লালপুর সড়কটির ওয়ালিয়া থেকে গোপালপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় শতাধিক বড়-বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।

একই চিত্র গোপালপুর রেলগেট থেকে লালপুর ত্রিমোহনী মোড় পর্যন্ত। এছাড়াও সড়কটির দিয়াড়ারপাড়া, চকনাজিরপুর, ভুঁইয়াপাড়াসহ মোট ৫টি স্থানে এক কিলোমিটার পাকা সড়কের ওপরে ইটের হ্যারিং বোম তৈরি করা আছে। এছাড়াও সড়কের গর্তে গাড়ির চাকাপুতে দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, এই সড়কটি দিয়েই লালপুরের একমাত্র শিল্পকারখানা নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস, লালপুর উপজেলা পরিষদ, লালপুর থানা, লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লালপুর ফায়ার সার্ভিস, গোপালপুর পৌরসভা, লালপুর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও লালপুর স্টেডিয়ামে যাতায়াত করতে হয়। 

সরকারি-বেসরকারি, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সড়কটি সংস্কার না করায় সড়কের সৃষ্ট গর্তগুলিতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিরপানি জমে কাঁদায় লুটোপুটি খায় আর শুকনো মৌসুমে ধুলোয় জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। তবে মাঝে-মাঝে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি এসে কিছু কিছু ভাঙা স্থানে ইট-বালি ও খোয়া দিয়ে যায়। তাতে দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।

এ ব্যাপারে নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম জাবেদ হোসেন তালুকদার বলেন, পানি নিষ্কাশনের সমস্যার কারণে রাস্তাটি টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এছাড়াও মেইনটেনেন্সের আওতায় রাস্তটিতে কিছু কাজ করা হবে। এজন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। তবে নাটোর জেলা সড়ক প্রকল্পের মধ্যে রাস্তাটির প্রকল্প দেওয়া আছে। পাশ হলে রাস্তটি পূর্ণ সংস্কার করা হবে। তবে সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা