• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তিন পার্বত্য জেলায় গাভী পেলেন ৩৮০ নারী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২০  

স্বাবলম্বী করতে এবার তিন পার্বত্য জেলায় ৩৮০ জন নারীকে গাভী বিতরণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে বান্দরবানে ১শ ৪০ জন, রাঙ্গামাটিতে ১শ ২০জন ও খাগড়াছড়িতে ১শ ২০জন অসচ্ছল ও প্রান্তিক নারীকে গাভী প্রদান করা হবে। যার ফলে স্বাবলম্বী হয়ে নারীরা নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের উন্নয়নে এই গাভী বিতরণ করা হচ্ছে। শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে বান্দরবানের রেইচা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অসচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের মধ্যে গাভী বিতরণ করেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এসময় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আশীষ কুমার বড়ুয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির উপস্থিত ছিলেন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের উন্নয়নে গাভী বিতরণ করা হচ্ছে, আগামীতে ও এই প্রকল্প চলমান রেখে নারীদের উন্নয়নে কাজ করবে সরকার।

এদিকে, গত ৭ মার্চ বান্দরবানের লামা উপজেলায় ৪০ জন নারীকে বিতরণকৃত গাভীগুলো বেশ রোগা প্রকৃতির বলে অভিযোগ করেছে উপকারভোগীরা। বান্দরবানের লামা উপজেলায় বিতরণকৃত বেশ কয়েকটি গাভীর শরীরে ঘা হয়ে পোকা ধরেছে বলেও জানিয়েছে তারা। এমন গাভী দেওয়ায় উপকারভোগী বিবি কুলচুমা বেগম গাভী নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।

এসময় পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের লামার দায়িত্বে থাকা সুদর্শন চাকমার কুলচুমা বেগমকে বলেন, যে অবস্থায় গাভী আছে সে অবস্থায় গাভী নিতে হবে, বদলিয়ে দেওয়ার কোন নিয়ম নাই।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড  প্রকল্প পরিচালক পিডি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন (উপ-সচিব) হারুনর রশিদ বলেন, যদি কোনো গাভী অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে বদলিয়ে দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিল থেকে সেই টাকা কেটে রাখা হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা