• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ডুমুরিয়ায় মহাসড়কের দু`পাশে অপরিকল্পিত ড্রেন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রক্ষা এবং চলতি বছর নতুন ইটের সলিং বিনষ্ট করে অপরিকল্পিত ড্রেনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। পানি নিস্কাশনের জন্য মহাসড়কের চেয়ে দেড় থেকে দুই ফুট নিচে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে একদিকে সরকার যেমন অর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, অপরদিকে জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচলে দুর্ভোগ বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর ধরে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ উন্নয়ন কাজ করছে। ওই উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে বৃষ্টির পানি নিস্কাশনে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদর এলাকার কালীবাড়ি এলাকা থেকে মহিলা ডিগ্রি কলেজ মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দু'পাশ ঘেঁষে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে মহাসড়কের দু'পাশ ঘেঁষে সওজের জায়গায় কয়েকশ' পাকা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে এবং জনসাধারণের নির্বিঘ্নে চলাচলে চলতি বছর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহাসড়ক ছেড়ে ১৫-২০ ফুট দূরে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ইটের সলিং (সড়ক) নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি ওই ইটের সলিং সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে সেখানে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে সওজ। স্থানীয়দের দাবি, সওজ বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে সহজে ড্রেন নির্মাণ করা সম্ভব ছিল। সে ক্ষেত্রে সওজ কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা রক্ষাসহ সরকারি অর্থায়নে সম্প্রতি নির্মিত ইটের সলিংটি বিনষ্ট করছে। অন্যদিকে মহাসড়কের দু'পাশ ঘেঁষে যে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে, তা মূল সড়কের উচ্চতার চেয়ে গড়ে দেড় থেকে দুই ফুট নিচু। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্ত হবে ও অল্পদিনের মধ্যে ময়লা- আবর্জনায় পূর্ণ হয়ে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে ওই ড্রেনের ছাউনির ওপর নতুন করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

ডুমুরিয়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনিল মণ্ডল বলেন, ডুমুরিয়ায় সওজ বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে করা সলিংয়ের রাস্তা নষ্ট হয়েছে। আর সড়কের ওই সরকারি ইটগুলো স্থানীয় লোকজন ইচ্ছামতো নিয়ে যাচ্ছে। ডুমুরিয়া সদরে এই অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ জনসাধারণের কোনো উপকারে আসবে না, বরং ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।

ডুমুরিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বুলু জানান, সওজ বিভাগ ডুমুরিয়া সদরে কী উন্নয়ন করছে তা জানি না। এ বিষয়ে তারা কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। তারা (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) যা করছে, তা সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত এবং নিজেদের ইচ্ছামতো। এটি এলাকার জন্য ক্ষতিকর। আমাদের কোনো কথা তারা শোনে না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরশাফ হোসেন জানান, চলতি বছর তার দপ্তরের অধীনে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে ওই ইটের সলিং নির্মাণ করা হয়েছে। সওজ বিভাগ তা বিনষ্ট করে সেখানে ড্রেন নির্মাণ করছে। এ বিষয়ে তাদের কেউ কিছু জানায়নি।

ডুমুরিয়ার ইউএনও শাহনাজ বেগম জানান, বিনষ্ট হওয়া সড়কটির সরকারি ইটগুলো রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুলনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাসের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা