জীবন যুদ্ধে হার না মানা আসমার গল্প
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
জন্মের পর থেকে আমৃত্যু কেউ সুখে বসবাস করেন আবার কাউকে সারা জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তাদের জীবনের সংগ্রাম যেন শেষ হয় না। এমনই এক সংগ্রামী নারী খুলনার আসমা খাতুন।
৫০ বছর বয়সী আসমা থাকেন খুলনা শহরের উপকণ্ঠে বটিয়াঘাটার হোগ্লা ডাঙ্গা এলাকায়। ১০ বছর আগে স্বামী আব্দুস সালাম মারা যান। তার দু’টি মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর আগে। এখন তিনি একা। কিন্তু পেট তো চালাতে হবে। অভাবের তাড়নায় জীবনের তাগিদে প্লাস্টিক সামগ্রী মাথায় করে নিয়ে শহর ও গ্রামের আনাচে কানাচে বোরকা পরে ছুটে বেড়ান বিক্রির জন্য।
আজকাল সবক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ সমানভাবে থাকলেও ফেরিওয়ালার কাজে সাধারণত তাদের দেখা যায় না। কিন্তু খুলনার আসমা মেয়ে জামাইদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে এ কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন।
প্রথমে কিছু লোক তার এ পেশাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। অনেকেই হাসি-ঠাট্টা ও সমালোচনা করতো। আবার কিছু লোক তাকে সহযোগিতাও করেছেন।
মহানগরীর নিরালার গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় কৌতূহলবসত আসমা খাতুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, জন্ম হয় বাবার অভাবের সংসারে। বিয়েও হয়েছিল এক দিনমজুরের সঙ্গে। সেখানেও অভাব। সংসারও বেশিদিন স্থায়ী হলো না। ১০ বছর আগে স্বামী মারা যায় দুই মেয়ে রেখে। অনেক কষ্টে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বামীরে আল্লায় নিয়ে গেছে। তার মরার পরে চোহে মুহে অন্ধকার নেমে আসে। কোনো একটা কাজ জোগারে মরিয়া হইয়ে উঠি। মানসের বাসায় কাম করি। দুই মেয়ে অল্প বয়সে পরেরে দিয়ে দিছি। সামান্য কিছু টাহা জোগাইয়ে ব্যবসায় নামছি। জামাইগে বোজা অইতি চাই না। হাত পায় এহনও বল আছে। তাই তো ফেরি কইরা খাই।
কেমন বেচা কেনা হয় জানতে চাইলে আসমা বলেন, কোনোদিন ভালো বেচাকেনা অয়, কোনোদিন আবার অয় না। বেচাকেনা ভালো হলে দুপুরে খেতে পারি হোটেলে। তা না হলে না খেয়ে থাকতে হয়। মাঝে মধ্যে দু’একজন খেতে বলে। প্লাস্টিকের জিনিস বেচি। এগুলা সংসারে কামে লাগে। কিন্তু বেচাকেনা খুব কম অয়। কোনোদিন হয়তো ২০০-৩০০ টাহা বেচা কেনা অয়, আবার মোটেও অয় না। আমি তো বেশি মাল নিতে পারি না। যেটুকু পারি সেই টুকু নেই। অনেকে খোঁজে নামি দামি প্লাস্টিকের জিনিস। সেই গুলাতে লাভ কম অয়। আমার অত টাহা নেই যে একটা দোহান দেব। যা ইনকাম অয় তা দিয়ে কষ্ট কইরে চলতে অয়। নিজের বাড়ি নাই জমি নাই। পরের জায়গায় থাহি কোনো রকম ঘর তুইলে। ভালো করে ঘর উঠাইতেও পারি না, টাহা নাই বলে।
জীবন যুদ্ধে হার না মানা এ নারীর মতে, দেশের সব নারীকে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত। লোকে কী বললো তার দিকে না তাকিয়ে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তার কর্মজীবনেও প্রথম প্রথম কাজ করতে তিনি অস্বস্তি বোধ করতেন। ভাবতেন লোকজন কে কী বলবে। এখন তার কাছে সেটা আর কোনো ব্যাপার বলে মনে হয় না।
বটিয়াঘাটার হোগ্লা ডাঙ্গায় বসবাসের আগে আসমা খাতুন প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ মহানগরীর বসুপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুমন শাহনেওয়াজ বলেন, আসমা খাতুনকে আমরা ছোট বেলা থেকে দেখেছি। অবিরাম জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক নারী তিনি। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে প্রতিনিয়ত বেঁচে আছেন। এক সময় তিনি আমাদের বাসায় কাজ করতেন। আমরা তাকে আসমা খালা বলে ডাকতাম। এখন নিজেই প্লাস্টিক সামগ্রী ফেরি করেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো কাজকেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। নারীরা অনেক সময় চক্ষুলজ্জার ভয়ে ঘর থেকে বের হতে চান না। কিন্তু আসমা খালা সেসব কথায় কান নিয়ে নিজেই নিজের মতো করে কাজ করে চলেছেন।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহী নিহত
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা: খুবি উপকেন্দ্রে ৮৮৮৬ পরীক্ষার্থী
- খুলনা যুবলীগ সভাপতির ছাতা পেয়ে নৌকার মাঝিরা খুশি
- খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ
- ১৪৩তম খুলনা দিবস পালিত
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- আমার শরীর সুন্দর, তাই তারা পিছু ছাড়ে না : নোরা ফাতেহি
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- নিজেকে এখন প্রাণভরে দেখি : পরীমণি
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?