• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

জাবি উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণ দাবির পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

দুই দিনের সর্বাত্মক ধর্মঘট শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। অপরদিকে চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অবরোধ কর্মসূচি পালন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (রাষ্ট্রপতি) বরাবর তার সচিবালয়ে ফ্যাক্স মারফত পাঠানো চিঠিতে উপাচার্যকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আচার্যের কাছে ফ্যাক্সের মাধ্যমে দেয়া চিঠিতে আমরা আন্দোলন এবং উপাচার্যের অপসারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনায় বসার জন্য আমরা আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত।

উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দুই দিনের ধর্মঘট কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালে ১০ অক্টোবর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন, ১৫ অক্টোবর ক্যাম্পাসে পদযাত্রা ও সমাবেশ, ১৬ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিল, ১৭ অক্টোবর সংহতি সমাবেশ এবং ১৯ অক্টোবর মশাল মিছিল। এছাড়াও আসন্ন পূজার ছুটিতে প্রতিদিন সংবাদচিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধের ফলে স্থগিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রশাসনিক ভবনের সব গেট তালাবদ্ধ থাকায় উপাচার্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে প্রবেশ করতে পারেনি। বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ পরিবহন সেবাও।

অপরদিকে চলমান আন্দোলনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে এর বিপক্ষে গণসংযোগ করেছেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগে বিচলিত না হয়ে স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনমত তৈরির আহ্বান জানান করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেছেন, ‘আন্দোলনকারীদের অযৌক্তিক দাবিতে আমি পদত্যাগ করব না। তারা যদি মহামান্য আচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করে এবং আচার্য যদি মনে করেন আমাকে অপসারণ করা দরকার তবে সেটি ভিন্ন কথা।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্যকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছেন তারা। তবে এই আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা