• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনায় যুবদল নেতা আ.লীগে, কেন্দ্রে অভিযোগ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা মহানগরের খানজাহান আলী থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুলকে আওয়ামী লীগের থানা কমিটির সদস্য পদ দেয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর স্থানীয় নেতাকর্মীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
খুলনার খানজাহান আলী থানার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহিদ হাসান জাকির স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এ বিষয়ে এ অভিযোগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

লিখিত ওই অভিযোগের সূত্রে জানান গেছে, কিছুদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে তিনি রাজপথে শ্লোগান দিয়ে যুবদলের ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দিতেন। ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতেন রাজপথে। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই আওয়ামী লীগে যোগদান করেন যুবদল নেতা মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুল। স্থানীয় আ.লীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘যুবদল নেতা মুকুল আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও বিএনপি নেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে থাকলেও গোপনে বিএনপির হয়ে কাজ করেছেন।’

খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি শাকিল আহমেদ বলেন, ‘মুকুল বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের পরপরই দলে গ্রুপিং তৈরি করেন। এতে করে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বলেন, ‘মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুলের পিতা মুন্সি জহুরুল হক স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকারদের হয়ে কাজ করেছেন। এলাকায় তিনি বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।’

মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আমাকে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আগে আমি একটি মতাদর্শের ছিলাম। সেখান থেকে তিন বছর আগে পদত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করি। আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ চক্রান্তে লিপ্ত।’

খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি বিশেষ সুবিধা নিতে দলে অনুপ্রবেশ করেছেন কিনা সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের দলে কোনো স্থান নেই। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে এ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা কর্মীদের মাঝে কোনো হাইব্রিড নেতা কর্মীকে স্থান দেয়া হবে না।’
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা