• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনায় আ. লীগের সম্মেলন ঘিরে তৃণমূলে তোড়জোড়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯  

আগামী ৭ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর ও ৮ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মহানগরের সব ওয়ার্ড ও উপজেলায় তোড়জোড় চলছে। নতুন কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে টিকিট বিতরণ ও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অক্টোবরের অর্ধেক শেষ হয়ে গেলেও বেশিরভাগ ওয়ার্ডে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। সদস্য যাচাই-বাছাই ও টিকিট বিতরণ পর্যন্ত শুরু হয়নি। তাই ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ডে সম্মেলন সম্পন্ন করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক।

মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত পাঁচটি থানা ও ৩৬টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে। ওয়ার্ড সম্মেলন হলেও থানার সম্মেলন করা হচ্ছে না। কারণ, পাঁচটি থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্প্রতি মহানগর আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা সম্মেলন করতে পারবো। আমাদের ৯টি থানার মধ্যে চারটিতে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিগুলোয় যাচাই-বাছাই শেষে টিকিট বিতরণ ও সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের দু’টি ওয়ার্ডে যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আমরা তাদের টিকিট বিতরণ শুরু করবো। এই দু’টি ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ হলে বাকিগুলোতেও পর্যায়ক্রমে শুরু করা হবে।’

খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, ‘আমাদের তিনটি ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়েছে। বাকি ৬টির মধ্যে তিনটিতে যাচাই-বাছাই ও টিকিট বিতরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর তিনটিতে মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনা অনুযায়ী তারিখ নির্ধারিত হবে।’

দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী বলেন, ‘খুব শিগগিরই  আমাদের ৬টি ওয়ার্ডে কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতিতে এটি বিলম্বিত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে সবগুলো ওয়ার্ডে সম্মেলন করা সম্ভব হবে না। তবে আশা করছি নভেম্বরের ভেতরে সবক’টি ওয়ার্ডে সম্মেলন করা সম্ভব হবে।’

খানজাহান আলী থানার সভাপতি আবিদ হোসেন বলেন, ‘পাঁচটি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’টিতে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকিগুলোয় পর্যায়ক্রমে শেষ করা হবে। সেক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা  সময় দিলে আমরা দ্রুত করতে পারবো।’

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘এখন বিভিন্ন ওয়ার্ডে সদস্য যাচাই-বাছাই ও টিকিট বিতরণ চলছে। নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরাতনদের নবায়ন কার্যক্রম শেষ হলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন হবে। এজন্য আমরা একদিনে দু’টি ওয়ার্ডের সম্মেলন আয়োজন করবো। তবে আমরা থানার সম্মেলন করতে পারবো না। কারণ থানা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে বেশি দিন হয়নি। সব ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করার পরই নির্ধারিত সময়ে মহানগরের সম্মেলন হবে।’

মহানগর সাধারণ সম্পাদক  মিজানুর রহমান মিজান বলেন,  ‘মহানগরের তিনটি ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ হয়েছে। সব ওয়ার্ডে টিকিট বিতরণ শেষে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হবে। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে একযোগে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন শেষ হবে।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ৯ উপজেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর রূপসায় সম্মেলন করা হয়। ২০ নভেম্বর ফুলতলা, ২৩ নভেম্বর বটিয়াঘাটা, ২৪ নভেম্বর তেরখাদা, ২৫ নভেম্বর দিঘলিয়া, ২৭ নভেম্বর ডুমুরিয়া, ২৮ নভেম্বর কয়রা, ৩০ নভেম্বর পাইকগাছা ও ১ ডিসেম্বর দাকোপ উপজেলার সম্মেলন হওয়ার কথা।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘হাইব্রিড ও নানা অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত আছে বা ছিল তাদের কোনোভাবেই পদে আনা হবে না। বিগত সময়ে যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের দলের সদস্য পদই থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যোগ্য ও দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। জেলার সব উপজেলায় নতুন ও পুরাতনদের সমন্বয়ে যোগ্য নেতৃত্ব বের করে আনা হবে।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা