• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনার অনলাইন হাটে ২ কোটি টাকার পশু বিক্রি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২০  

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে খুলনায় জমে উঠেছে অনলাইনে কোরবানির পশুর হাট। করোনার জন্য সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে চালু করা এই হাটে এ পর্যন্ত শতাধিক গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। যার বিক্রয় মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। তবে, অনলাইনে পশু কেনা-বেচায় হাসিল আদায়ের বিষয় এখনও চালু হয়নি।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অনলাইন হাটে এখন পর্যন্ত ১০৯টি পশু বিক্রি হয়েছে। যা থেকে ১ কোটি ৯১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার গরু ও ছাগল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭৬টি গরু ও ৩৩টি ছাগল। অনলাইনের মাধ্যমে বেচাকেনার জন্য প্রতিদিনই পশুর ছবিসহ বর্ণনা আপলোড করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭৫৫টি গরুর ছবি আপলোড করা হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে কোরবানি হাট খুলনা নামে একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়। অ্যাপসের মাধ্যমে তৃণমূল থেকে পশুর ছবি, দামসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হচ্ছে। অ্যাপসটির মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি হচ্ছে।

খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ৮ জুলাই দুপুরে ‘অনলাইন কোরবানি হাট’ নামে কোরবানি পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মোবাইল অ্যাপটির উদ্বোধন করা হয়। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালকুদার আব্দুল খালেক অ্যাপটির উদ্বোধন করেন। এছাড়া প্রযুক্তিনির্ভর এই সেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। Qurbani Hat Khulna অ্যাপ এবং qurbanihatkhulna.com ওয়েবসাইটে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মণ্ডল জানান, অ্যাপসটির মাধ্যমে ক্রেতারা খামারের সন্ধান পাচ্ছেন। আর খামারিরা ঘরে বসেই পাচ্ছেন ক্রেতা। খামারে গিয়েই সরাসরি কথা বলে দর কষাকষির মাধ্যমে পছন্দের পশুটি কিনছেন তারা। যেহেতু খামার থেকেই সরাসরি পশু বিক্রি হচ্ছে তাই ক্রেতা এই ক্ষেত্রে হাসিল না দেওয়ার সুবিধা পাচ্ছেন।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কেনা-বেচা সক্রিয় রাখার সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। হাসিল আদায়ের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা