• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনা কারাগারে মুক্তির অপেক্ষায় ৬৮ বন্দী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২০  

করোনা সংক্রামণ রোধে লঘু সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনার অংশ হিসেবে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন খুলনা জেলা কারাগারের ৬৮ জন বন্দী। ইতোমধ্যেই তাদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক।

তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা কারাগারে বিভিন্ন মামলায় লঘু ও গুরুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬৮ বন্দীকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন সাজা ভোগ, লঘু অপরাধ ও অধিক বয়স্ক কয়েদিদের নিয়েই এ তালিকা করা হয়েছে। তালিকা কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) বরাবর তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে।

খুলনা কারাগারের জেলার তারিকুল ইসলাম জানান, লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এসব কয়েদি অনেক দিন ধরেই খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এ সব লঘু সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির কারাবাসকালীন আচার-আচরণসহ সার্বিক বিবেচনার পর সম্ভব্য সাধারণ ক্ষমার তালিকাভুক্তি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক  জানান, তালিকায় পাঠানো ৬৮ বন্দীর মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছে। যাদের সাজার সময়সীমা ২০ বছর অতিক্রম করেছে।

এছাড়া, কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত ক্যাটাগরি অনুযায়ীই এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে, তাদের মুক্তির বিষয়ে এখনো কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে কারাগারের বন্দীদের সুরক্ষায় কী ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে কারা সুপার জানান, মঙ্গলবার খুলনা জেলা কারাগারে বন্দী ছিল ১৪শ’ ৫২ জন। যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। তারপরও সুষ্ঠু হাইজেনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাদের ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে। কারাগারের ওয়ার্ডগুলোতে নিয়মিত ক্লোরিন ও ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি স্প্রে, স্বাস্থ্য কর্মীদের পিপিই প্রদান, বন্দিদের হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক বিতরণ, সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা এবং নিয়মিত ইনফারেট থার্মোমিটার দিয়ে বন্দীদের তাপমাত্রা পরিমাপসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হয়েছে।

এছাড়া, নতুন কোন আসামি আসামাত্রই তাকে আলাদা সেফ ওয়ার্ডে ৭ দিন রেখে কারা চিকিৎসক দিয়ে ফিটনেস পরীক্ষা করেই সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়া হয়।

যে কারণে খুলনা কারাগার এখন পর্যন্ত করোনার ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় আছে বলেও মনে করেন এই কারা কর্মকর্তা।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা