• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনা করোনা হাসপাতালে বাড়ছে আইসিইউ, সব বেডেই থাকবে অক্সিজেন সংযোগ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১  

খুলনায় বেড়েই চলেছে করোনা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা।  ফলে নানা শঙ্কায় ভুগছেন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা খুলনাবাসী। এ অবস্থায় করোনা হাসপাতালের আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো এবং সকল সাধারণ বেডে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যা আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আটটি আইসিইউ এখন রোগীতে প্রায় পরিপূর্ণ, সেখানে মোট রোগীর সংখ্যা  ৭৩। বাকি ২৭ টি শয্যা পূরণ হয়ে গেলে পরবর্তী রোগীর ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। এ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় কোন ইউনিট তৈরি না হলেও আইসিইউ’র সংখ্যা বাড়াতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

গত বছর খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে এক শ’ বেডের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালু করা হলেও গত ডিসেম্বরে তা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে খুমেক হাসপাতাল অভ্যন্তরে আইসিইউ ভবনের নিচতলা ও দোতলা মিলিয়ে চলছে এক শ’ বেডের করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম। যার মধ্যে আটটি রয়েছে আইসিইউ বেড। এছাড়া ৩৬ টি বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

সূত্র জানায়, করোনা ওয়ার্ডে দুর্ভোগ কমাতে ইউনিসেফের সহায়তায় নতুন করে আরও ১০ টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত হচ্ছে। একইসাথে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৬ টি থেকে  শতভাগ হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় কোন ইউনিট এই মুহুর্তে করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার খুলনা গেজেটকে বলেন, করোনা ইউনিটের বেড সংখ্যা বাড়াতে গেলে শুধু বেড বা অক্সিজেন সরবরাহ করলেই হয়না। এর সাথে আরও অনেক কিছু জড়িত আছে। ভেন্টিলেটর চালাতে গেলে এর সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ, মনিটর, সাকার মেশিন, বেড, সাইড ট্রলি, এসি ইত্যাদিসহ অন্তত ৭/৮ প্রকারের আইটেম লাগে।

খুমেক হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বিষয়ক কমিটির সমন্বয়কারী এবং খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ বলেন, আমরা এই মুহুর্তেই কোনো দ্বিতীয় ইউনিট তৈরি করছি না। তবে আইসিইউ এর সংখ্যা বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছি। একই সাথে সামর্থ্য অনুয়ায়ী কিছু বেডের সংখ্যা বাড়াতে হতে পারে। এছাড়া আমরা চেষ্টা করছি শতভাগ সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের। তিনি আরো বলেন, আইসিইউ’র সংখ্যা নিদিষ্ট বলা যাচ্ছে না,  ইউনিসেফের সহায়তায় ১০টি আইসিইউ শয্যা সহ মোট ২৫ থেকে ৩০ টা শয্যা প্রস্তুত করা যেতে পারে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, আশা করা যায় প্রস্তাবিত বর্ধিত আইসিইউ বেডসহ সকল কার্যক্রম আগামি ১০/১২ দিনের ভেতর সম্পন্ন হবে। বেডসহ শতভাগ সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু হলে পূর্বের তুলনায় রোগীর ভোগান্তি কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫শ ২৫ জনের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা