করোনা ইস্যু নিয়ে ফখরুলের নোংরা রাজনৈতিক নাটক, জনগণের প্রত্যাখ্যান

করোনা ভাইরাস নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নোংরা রাজনীতি দেশের সাধারণ মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিভিন্ন মনগড়া ইস্যু নিয়ে বিএনপির একের পর এক রাজনৈতিক মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর এবার তারা মাঠে নেমেছে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে জনগণের মনে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি করতে। কিন্তু সচেতন মানুষ এবার আর তাদের পাতানো ফাঁদে পা রাখছেন না।

করোনা ভাইরাস বিভিন্ন দেশে বিস্তারের পরপরই এ ভাইরাস নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি শুরু করে। সম্ভাব্য করোনা মোকবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সরকার গ্রহণ করেনি বলেনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, তরোনা মোকাবেলায় সরকারের উদাসিনতা রয়েছে।

তবে বাস্তবতার সাথে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা গেছে। তিনি যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন তা সরকারের করোনা মোকাবেলায় দৃশ্যমান বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখে দেশের মানুষ সহজেই বুঝতে পেরেছেন।

করোনা বিস্তারের প্রারম্ভে এবং বাংলাদেশে যখন করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি ঠিক সেই সময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে আশ্বস্ত করে জানান, করোনা মোকাবেলায় দেশে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে কাজেই আতংকের কিছু নেই। তাঁর এ বক্তব্য সাধারণ মানুষের মাঝ থেকে আতংক অনেকাংশে দূর করে দেয়।

এরপর দেশের বিমান বন্দর, নৌ ও স্থল বন্দরে করোনা সনাক্তে তাৎক্ষণিকভাবে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়। দেশের প্রতিটি জেলায় হাসপাতালগুলোতে ৫০ থেকে ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট খোলা হয়। দেশের ‘রোগ তত্ত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ আইইডিসিআরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয় সার্বিক করোনা পরিস্থিতি ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণের জন্য। করোনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়া সরকারের অর্থ বিভাগ জরুরী ভিত্তিতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। আরো ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। করোনা আক্রান্তদের সরকারী খরচে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শুধু এটুকুই নয়, ব্যাপক প্রস্তুতি থাকার পরও মুজিব বর্ষের যাবতীয় অনুষ্ঠানকেও সংক্ষিপ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বৈঠকে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘‘আগে সাধারণ মানুষকে সুস্থ রাখতে হবে, পরে অনুষ্ঠান।’’ জাতির প্রতি তিনি পূর্ণ দায়িত্বশীল না হলে এমন কথা বলতে পারতেন না বলে অভিমত দিয়েছেন দেশের একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

সমকালীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে তোলা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং করোনার মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে নিয়ে তার রাজনৈতিক খেলা শুরু করেছে, তা দেশের জনগণ এমন কি বিএনপি’র নেতা কর্মীদের মাঝেও স্পষ্ট হয়ে গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপগুলো যথাযথ ও পর্যাপ্ত। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের ভিতরের কেউ যদি করোনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানায়, সেটা সত্যি দু:খজনক।

আওয়ামীরীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকে তার বক্তব্যে দেশবাসীকে সচেতন করছেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে পরীক্ষা-নিরিক্ষা জোরদার করা হয়েছে। বিএনপি করোনা ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।’’