• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ডুমুরিয়া আবারও অশান্ত,আ’লীগের ৭ কর্মী আহত

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯  

উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্ত ডুমুরিয়া আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে। এক বিশেষ নেতার আমন্ত্রনে উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের নেতাদের সাথে যশোরে বিশেষ বৈঠকের পর ডুমুরিয়ার নির্বাচনী মাঠ হঠাৎ অশান্ত হয়ে পড়েছে। ভূরিভোজসহ দিনব্যাপি এ বৈঠক শেষে বাড়ী ফিরেই চুকনগর ও শাহপুরে নৌকার ৭ সমর্থককে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তখন থেকেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে ডুমুরিয়ার নির্বাচনী মাঠ। এ সুযোগে কতিপয় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী তান্ডপ চালানোর চেষ্টা করছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আ’লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে।

  • যশোরে খুলনা আ’লীগের এক শীর্ষনেতার গোপন বৈঠক !
  • উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ডুমুরিয়া আবারও অশান্ত
  • প্রতিপক্ষের হামলায় আ’লীগের ৭ কর্মী আহত

 

সূত্রমতে নানা নাটকীয়তার পর আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডুমুুিরয়ায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন গুটদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা সরোয়ার।

তিনি উপজেলার সবাইকে তাক লাগিয়ে কেন্দ্রীয় আ’লীগের নির্বাচনী বোর্ডের মাধ্যমে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত নৌকার টিকিট পাওয়ার পর থেকে ডুমুরিয়া উপজেলা আ’লীগ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে। তবে নির্বাচনী মাঠ থাকে সরগরম। ১৪টি ইউনিয়নে সকল শ্রেণীপেশার মানুষের মাঝে পক্ষে-বিপক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রচার প্রচারনা, বাক-বিতন্ডা চায়ের টেবিলে ঝড় ওঠে।

কিন্তু গত ১৮ মার্চ ডুমুরিয়া উপজেলার এক শীর্ষ নেতার আমন্ত্রনে উপজেলার বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও বেশকিছু দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে যশোরে যান। শহরের আইটি পার্ক রেষ্টুরেন্টে ওই শীর্ষ বিশেষ নেতার নেতৃত্বে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য জানান, যেকোন মূল্যে নৌকার প্রার্থীকে হারাতে হবে। আর এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের দায়িত্ব নেন ওই শীর্ষনেতা নিজেই। মাঠ দখলের দায়িত্ব দেন উপস্থিত নেতা-কর্মীদের। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী এজাজ আহমেদের ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দেন।

 

একাধিক সূত্র জানিয়েছে ওই গোপন বৈঠকে বেশ কয়েকজন তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী উপস্থিত ছিল। তাদেরকে নির্বাচনী মাঠে প্রভাব বিস্তারের জন্য এলাকা ভিত্তিক মহড়া প্রদর্শনের নির্দেশও দেন তিনি। শীর্ষনেতার নির্দেশ নিয়েই ওই রাতেই চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডে অতর্কিতভাবে নৌকার সমর্থক আশরাফ আলী গাজী (৪০), খায়রুল শেখ (৩৫) ও ইছারুল শেখ (৩০) কে স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ বাহিনীর ক্যাডাররা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

এ ঘটনায় আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অপরদিকে একই রাতে শাহপুর বাজারে ওই বাহিনী নৌকার সমর্থক বাপ্পি খান, সাইফুল আলম খান ও মতিয়ার রহমানকে মারপিট করে। আওয়ামীলীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায় শীর্ষনেতার নির্দেশ পাওয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ১৮ মার্চের ওই বিশেষ বৈঠকের পরেই চিংড়া, লাইন বিলপাবলা, আঠার মাইলসহ নৌকার বেশ কয়েকটি নির্বাচনী অফিস দখল করে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা সরোয়ার বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে উপজেলা আ’লীগের এক বিশেষ নেতার নির্দেশে আমার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হচ্ছে। দখল করা হচ্ছে নৌকার নির্বাচনী অফিস।

ডুমুরিয়া আ’লীগকে দূর্বল করার জন্য নৌকা প্রতীককে ঠকাতে ওই শীর্ষনেতা উঠে পড়ে লেগেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় আ’লীগ ও জেলা এবং মহানগর আ’লীগকে অবহিত করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, চুকনগরে মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে নির্বাচনী সংক্রান্ত বিষয় কিনা সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা