• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

আবরার হত্যা : রিমান্ড শেষে কারাগারে সেতু

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার এস এম মাহমুদ সেতুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

চারদিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৭ অক্টোবর সেতুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। আবরার হত্যায় সেতুসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আবরার হত্যা মামলায় সেতুর নাম নেই। তবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়া অন্য আসামিদের বক্তব্যে সেতুর নাম এসেছে। সে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর বাংলামোটর থেকে রোববার বিকেলে মাহমুদ সেতুকে গ্রেফতার করা হয়। আবরার হত্যা মামলার এজাহারে মাহমুদ সেতুর নাম উল্লেখ না থাকলেও কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় ইতোপূর্বে গ্রেফতারদের জবানবন্দি ও বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণে আবরার হত্যায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাহমুদ সেতু জানিয়েছেন, তিনি বুয়েটের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে চলতি বছরের এপ্রিলে বিএসসি সম্পন্ন করেন। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১২ রুমে থেকে মানিকগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যাতায়াত করতেন তিনি।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা