• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

প্রস্তুত হচ্ছেন স্পিনাররা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

হলকার স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচই হয়েছে একটি, ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। যে ম্যাচে ৩২১ রানে জিতেছিল ভারত। অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। একমাত্র টেস্টের পরিসংখ্যান দিয়ে হলকারের উইকেটের চরিত্রের সনদ দেওয়া বড্ড ঝুঁকিপূর্ণ। হয়তো সেটা কেউ করবেও না। তবে এই মাঠ যে স্পিনারদের সুবিধা দেবে, সেটা অনুমেয়। বাংলাদেশ দলকেও দেখা গেল স্পিনারদের নিয়ে বেশি নিমগ্ন থাকতে।

ড্যানিয়েল ভেট্টরি স্পিনারদের ধরে ধরে কিছু জিনিস বলে দিচ্ছিলেন। ব্যাটসম্যানরাও লম্বা সময় ধরে নেট সেশন করলেন স্পিনের। এরপর নেটের পাশে গিয়ে সুইপ শট খেলার প্রস্তুতি নিলেন অনেকেই। মোহাম্মদ মিঠুন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কঠোর পরিশ্রম করে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্টে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কারণ হিসেবে ভারতের বোলিং লাইনআপকে সামনে নিয়ে এলেন তিনি।

টেস্টে ভারতের বোলিং বিশ্বমানের। দেশে খেলা হলে আরও ভয়ংকর তারা। অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদবদের মোকাবিলা করতে টাইগাররাও তাই সব দিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মিঠুনের ভাষায়, 'অতীতে ভারতের কেবল স্পিন বোলিং আক্রমণ ছিল। এখন ওদের শক্তিশালী পেস বোলিং ইউনিটও আছে। ওদের দুটি বিভাগই এখন শক্তিশালী। ওদের বিপক্ষে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যদি আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তাহলে ভালো করতে পারব।'

বিরাট কোহলি টি২০ সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। কিন্তু টেস্ট খেলবেন। ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন সামনে থেকে। সেদিক থেকে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপও শক্তিশালী। বিশ্বের এক নম্বর দলের বিপক্ষে জিততে হলে বাংলাদেশ দলকে সামর্থ্যের চেয়েও বেশি ভালো খেলতে হবে। টাইগাররা তা জানেন এবং নিজেদের মানসিকভাবে তৈরিও করছেন। মিঠুন বলছেন, তারা জয়ের জন্য খেলবেন। প্রতিটি দলই এই লক্ষ্য নিয়ে খেলে। সেখানে বাংলাদেশের জিততে চাওয়া স্বাভাবিক। তবে টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে স্বাগতিকদের দু'বার অলআউট করতে হবে। ভারতকে দু'বার অলআউট করার মতো বোলিং সামর্থ্য বাংলাদেশ দলের আছে কি-না, সেটা বড় প্রশ্ন। মিঠুন জানান, বাংলাদেশের বর্তমান টেস্ট স্কোয়াডে শক্তিশালী একটি বোলিং লাইনআপ আছে। তারা যে কোনো কন্ডিশনে যে কোনো দলের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য রাখে।

আল-আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন এবং আবু জায়েদ রাহিকে নিয়ে টাইগারদের পেস বোলিং ইউনিট। স্পিন বিভাগে তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান খেলবেন। মাহমুদুল্লাহও স্পিন বল করেন। সেপ্টেম্বরে দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হারের দলেও এই বোলারদের বেশিরভাগই ছিলেন। যে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেখানে ভারতের মাটিতে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে কতটা প্রভাব বিস্তারী পারফরম্যান্স করতে পারবে, এটি বড় প্রশ্ন। মিঠুন আত্মবিশ্বাস তারা পারবেন।

অবশ্য টাইগার শিবিরে এই আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে ভারতের বিপক্ষে টি২০ জয়। টেস্টেও আবেগ কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে চান তারা। মিঠুনের মতে, 'আমাদের দলটি ভারসাম্যপূর্ণ। ব্যাটিং, বোলিং দুই দিক থেকেই। যখন আমরা দল হিসেবে খেলতে পারি তখন আমরা ভালো করি। জিততে হলে আমাদের একজন-দু'জনের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। পুরো দলকেই ভালো করতে হবে। বিশেষ করে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে ইউনিট হিসেবে খেলতে পারলে সম্ভাবনা থাকবে।' হলকার স্টেডিয়ামের বৃত্তে পেশাদারিত্ব দেখাতে পারলে মিঠুনদের স্বপ্ন পূরণ হতেও তো পারে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা