কারো সর্বনাশ, কারো পৌষ মাস!
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের ছাত্র ফিরোজ কবির স্বাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার আশায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। উন্নত চিকিৎসা পাননি, বরং তার জীবন গেছে। তবে স্বাধীন উন্নত চিকিৎসা না পেলেও, তার স্বজনরা পেয়েছেন অতি উন্নত মানের বিল।
স্কয়ার হাসপাতাল নামের ফাইভ স্টার হোটেলে স্বাধীন বেঁচে থাকতে পেরেছিলেন ২২ ঘণ্টা। আচ্ছা বাংলাদেশের একটি হাসপাতালে একজন রোগী, যার কোনো অপারেশন বা আলাদা কিছু হয়নি, তার বিল সর্বোচ্চ কত হতে পারে? আপনাদের কারো কোনো ধারণা আছে?
আমাদের ব্যবসায়ী, ডাক্তার, হাসপাতাল মালিক সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ, জাতির এই দুর্যোগে আপনারা ব্যবসার কথা ভুলে যান, মানবিকতা নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলেমিশেই এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে
লেখাটা পড়া থামিয়ে এক মিনিট কল্পনা করুন। তারপর আপনার কল্পনার সাথে বাস্তবতাকে মিলিয়ে নিন। আমি নিশ্চিত কারো কল্পনাই মেলেনি। আমার কল্পনা বিলের ধারে কাছেও যেতে পারেনি। ২২ ঘণ্টায় স্বাধীনের বিল হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৪ টাকা। কিভাবে সম্ভব?
এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার মত কেউ নেই স্কয়ার হাসপাতালে। তারা ব্যস্ত রোগীর স্বজনদের পকেট কাটতে। আচ্ছা কমন সেন্স কী বলে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন, ডেঙ্গু রোগীদের যেন প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ দেয়া না হয়।
সাথে প্রচুর তরল খাবার খেতে দিতে হবে। তাতে স্বাধীনকে ২২ ঘণ্টায় ৪ টাকা দামের ৪টি প্যারাসিটামল, বড় জোর কয়েকশ টাকা দামের স্যালাইন দেয়া সম্ভব। কিন্তু তার ওষুধের বিল এসেছে ৩২ হাজার টাকা। এখন যদি কেউ বলে, বেশি ওষুধ দিয়েই স্বাধীনকে মেরে ফেলা হয়েছে, কী বলবেন স্কয়ার কর্তৃপক্ষ?
অবশ্য বলার জন্য তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। স্বাধীনকে একবারও রক্ত দেয়া হয়নি। অথচ ১১ বার রক্তের ক্রস ম্যাচ করার জন্য দাবি করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। ল্যাবরেটরি চার্জ এসেছে ৭৩ হাজার টাকা। ফিরোজ কবির স্বাধীনের এই বিলটি দেখে বোঝা যায়, দেশটা আসলে মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। দেখার কেউ নেই।
স্বাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানীসহ ছাত্রলীগ নেতারা ছুটে গেছেন হাসপাতালে। তাই এ নিয়ে অনেক লেখালেখি। কিন্তু সাধারণ মানুষ হলে, এই প্রতিবাদটুকুও হতো না। আমি জানি না কেউ করবে কিনা, তবে ফিরোজ কবির স্বাধীনের বিলটি নিয়ে জনস্বার্থে একটি রিট হতে পারে। আর স্কয়ার কর্তৃপক্ষ যেহেতু কোনো প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না। তাই আদালতেরই এই বিলের ব্যাখ্যা চাওয়া উচিত।
শুধু স্কয়ার হাসপাতাল নয়, ডেঙ্গুর আশঙ্কাজনক বিস্তারে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর যেন ঈদ লেগেছে। কোথাও সিট খালি নেই, তাই সবকিছুর চার্জ বেড়ে গেছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কয়েকগুণ করে রোগী ভর্তি আছে। মেঝে-বারান্দাসহ কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই।
দুদিন আগে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে চমকে গেলাম। যেন জনসমুদ্র। ভেতরেও সত্যি সত্যি পা ফেলার জায়গা নেই। সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে অনেকেই ছুটছেন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে, যেখানে পকেট কাটার সকল ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে গবেষণা বলছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে বেশি। সরকারি হাসপাতালে আরাম কম, চিকিৎসা ভালো। বেসরকারি হাসপাতালে আরাম আছে, তবে চিকিৎসা মেলে না ভালো, মিললেও চড়া দামে।
শুধু বেসরকারি হাসপাতালগুলো নয়, ডেঙ্গু যেন ‘ঈদ’ এনেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। দিনভর মানুষের লম্বা লাইন। প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য ডাক্তাররা তিনটি পরীক্ষা করতে বলেন- প্লাটিলেট কাউন্ট, এনএস১ ও আইজিএম। অনেকেই সন্দেহ থেকেই নিজেরা ডায়ানগস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিচ্ছেন। ঢাকার অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই এই পরীক্ষাগুলো করাতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। উন্নতমানের রি-অ্যাজেন্ট দিয়ে এই তিনটি পরীক্ষা করলেও ডায়াগনস্টকি সেন্টারগুলোর খরচ হবে ৮০০ টাকা।
ডাক্তারদের কমিশন, কর্মচারিদের বেতন-ভাতা অন্যান্য সব মিলিয়ে দেড় হাজার টাকা রাখলেও তাদের লাভ থাকার কথা। কিন্তু ঢাকার কোনো কোনো সেন্টারে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনি কোনো প্রশ্নও করতে পারবেন না। উত্তর দেয়ার সময় নেই কারো। প্রশ্ন করলেই তারা ডাকবে, নেক্সট। নগরবাসী যেন ফাঁদে আটকে পড়া ইঁদুর।
বেসরকারি হাসপাতালগুলো আর ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিলে একটা সমতা থাকা দরকার। এগুলো কি দেখার আসলেই কেউ নেই? খালি লাইসেন্স দিয়েই কি সরকারের দায়িত্ব শেষ? তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ, দেরিতে হলেও তারা ডেঙ্গু পরীক্ষার খরচের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আশা করি সবাই এটা মেনে চলবেন।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতালের মালিকরাও তো এই দেশেরই নাগরিক। তাদেরও তো সামাজিক দায়িত্ব আছে। ডেঙ্গুর কারণে মশার কারণে মশারি, মশার কয়েলসহ মশা মারার নানান সামগ্রীর চাহিদাও বেড়ে গেছে।
অর্থনীতির নিয়ম হলো, চাহিদা বেড়ে গেলে দাম কমে যায়। কারণ দাম কমিয়েও বিক্রি বেশি হলে লাভের পরিমাণ কমে না। বিশ্বের একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলাদেশ, যেখানে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দাম। সব দেশে উৎসবের সময় সবচেয়ে বড় ডিসকাউন্ট দেয়। আর বাংলাদেশে ঈদে-পার্বণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
আমাদের ব্যবসায়ী, ডাক্তার, হাসপাতাল মালিক সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ, জাতির এই দুর্যোগে আপনারা ব্যবসার কথা ভুলে যান, মানবিকতা নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলেমিশেই এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে।
- এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার
- ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ
- হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে : ধর্মমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন: খাদ্যমন্ত্রী
- নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ. লীগকে আমন্ত্রণ বিজেপির
- ধানউৎপাদনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিরব্যবহার বাড়ানোহবে:পরিবেশমন্ত্রী
- দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ
- আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগেরচিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে
- আইপিএলের মাঝপথে ফিরছেন মুস্তাফিজ, কত টাকা পাচ্ছেন!
- কৃষককেই উৎপাদিত ধান থেকে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে: ড. মির্জা মোফাজ্জল
- শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই: মেয়র
- ভোটে প্রভাব বিস্তাব করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে পর্যবেক্ষক প্রায় পাঁচ হাজার
- উপজেলা ভোট: দুর্গম এলাকা ছাড়া সব কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে
- ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা, ভাড়া ৫৫০ টাকা
- প্রকাশ্যে গুলি, মডেলের মৃত্যু
- খুলনায় চাহিদার চেয়ে কোরবানিযোগ্য পশু বেশি সাড়ে ৩ লাখ
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- আজ দেশে পৌঁছাবে তিউনিসিয়া উপকূলে নিহত ৮ বাংলাদেশির লাশ
- মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন
- ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
- ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- দেশের বামপন্থিরা নব্বই ডিগ্রি ঘুরে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
- থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে:শেখ হাসিনা
- সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান
- চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশী জাহাজ
- খুলনায় মহান মে দিবস পালিত
- দাবদাহে তৃষ্ণার্ত পাখির জন্য সিকান্দারের ভালোবাসা
- দিল্লির শতাধিক স্কুলে বোমাতঙ্কে তুলকালাম
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- ইসরায়েলের ড্রোনগুলো ‘বাচ্চাদের খেলনার মতো’: ইরান
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- মুজিবনগর সরকার না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না : মেয়র
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- খুলনার জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ক্ষয়ক্ষতি শত কোটি
- আকাশে ঘটতে চলেছে বিশাল তারকা বিস্ফোরণ